স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৭ ফেব্রুয়ারি : ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭০ টি আসন। শনিবার থেকে নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশনে প্রত্যক্ষভাবেই এই লক্ষ্যমাত্রা স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আর জোট হিসেবে এনডিএর খাতায় তিনি চাইছেন ৪০০ আসন।
শনিবার থেকে নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হলো দুদিন ব্যাপী ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কনভেনশন। এর আগেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শনিবার এই কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় জে পি নাড্ডা। ভারতীয় জনতা পার্টির এই রাষ্ট্রীয় অধিবেশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলীয় কার্যকর্তাদের ১০০ দিনের রোডম্যাপ তৈরি করে দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন লোকসভা নির্বাচনের ১০০ দিন আরও বাকি রয়েছে। আর এই ১০০ দিনই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যেতে হবে দলীয় কার্যকর্তাদের। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যমাত্রায় রয়েছে যুবসমাজ। তিনি বলেন এই ১০০ দিন প্রত্যেককে গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। প্রথমে যেতে হবে ভোটারদের কাছে। তাদেরকে বোঝাতে হবে গত ১০ বছর ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কি কি কাজ করেছে। মহিলাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য গত দশ বছর কেন্দ্রীয় সরকার কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তার বাস্তবায়ন করেছে সেটা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে দলীয় কার্যকর্তাদের। সিংহভাগ মহিলাদের ভোট যাতে বিজেপির খাতায় যোগ হয় সেটাই মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রচারের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তিনি বলেন একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কোন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। গত ১০ বছরের সেই দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসনের চিত্রটাও তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের সামনে। ভারতীয় জনতা পার্টির লক্ষ্যমাত্রায় রয়েছে একক ভাবে ৩৭০ টি আসন। আর জোট হিসেবে এনডিএ এর খাতায় প্রধানমন্ত্রী চাইছেন ৪০০ টি আসন।
আগামী মাসে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে কৃষক বিদ্রোহ নতুন করে কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভাজপার শীর্ষ নেতাদের। আর এই দুটি জ্বলন্ত ইস্যুকেই এবারে ঝেড়ে ফেলতে টনিক দেওয়া শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় জনতা পার্টির দুদিন ব্যাপী এই রাষ্ট্রীয় কনভেনশনে সমস্ত রাজ্যের শীর্ষ পদাধিকারী, সংসদ, বিধায়ক, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব সহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। গোটা দেশ থেকে প্রায় এগারো হাজার প্রতিনিধি এই অধিবেশনে যোগ দেয়। যার মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা সহ ছিলেন প্রায় ১৪৪ জন প্রতিনিধি