স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৭ ফেব্রুয়ারি : বার বার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট -এর সমন এড়ানোর কারণ জানাতে এ বার আম আদমি পার্টি -র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করল আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কেজরীকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাবদিহি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক দিব্যা মলহোত্র।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চম বারও ইডির সমন এড়িয়েছেন কেজরী। এড়িয়ে গিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদ। তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার বিকেলে ওই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে পঞ্চম সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা দিতে যাননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সমন বেআইনি’। তাঁকে গ্রেফতার করাই মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর আগে ২ নভেম্বর, ২১ ডিসেম্বর, ৩ জানুয়ারি, ১৩ জানুয়ারি সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরীকে। প্রতি বারই অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি।
প্রথম সমনের পরে আপ প্রধান জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে থাকার কারণে ২ নভেম্বর ইডির দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এর পর কখনও ‘অন্য কাজ’, কখনও ১০ দিনের বিপাসনায় যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। এ বার কেজরী অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ সমন পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিপক্ষের ‘কৌশল’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইডির পদক্ষেপের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্ররোচনা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।.
আপের তরফে বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের নেতা যাতে লোকসভা ভোটের প্রচারে যেতে না পারেন, সে কারণে এ সব করা হচ্ছে। গত বছর এপ্রিলে এই মামলায় কেজরীকে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সে সময় কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই মোট ৫৬ টি প্রশ্ন করেছে। সব কিছু ভুয়ো। ভুয়ো মামলা। আমি নিশ্চিত, আমাদের বিরুদ্ধে ওদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই।’’
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। পরে ওই দুর্নীতিকাণ্ডে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের খোঁজে পৃথক তদন্ত শুরু করে ইডি।