সুরাট, ২৩ মার্চ (হি.স.): ‘মোদী পদবি’ মন্তব্যের জন্য অস্বস্তি পড়লেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে ‘মোদী পদবি’ মন্তব্যের জন্য দোষীসাব্যস্ত করেছে গুজরাটের সুরাটের জেলা আদালত। ‘মোদী উপাধি’ মন্তব্যের জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল ফৌজদারি মানহানির মামলায়, তাতেই রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী স্লোগান তুলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানাতেই এই রব তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা। এমনই ভাবে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, নীরব মোদী, ললিত মোদীকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদী’ পদবীর সকলের অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলারই বৃহস্পতিবার রায়দান করল আদালত। আদালতের তরফে এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবার সকালেই সুরাটে পৌঁছে যান রাহুল, সশরীরে হাজিরা দেন জেলা আদালতে।
বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রাহুল। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় দেয় আদালত। রাহুলকে দোষীসাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেয় আদালত। তবে, ৩০ দিনের জন্য জামিন মঞ্জুর হয়েছে রাহুলের, ১০ হাজার টাকার বন্ডে। জেলা আদালতের রায়কে এই সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন তিনি। আদালত দু’বছরের সাজা শুনিয়েছে রাহুলকে। তাতে তাঁর সাংসদ পদ বাতিলও হতে পারে। বিজেপি বিধায়ক ও মামলাকারী পূর্নেশ মোদী বলেছেন, “এই রায়কে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।” পূর্নেশের আইনজীবী কেতন রেশমওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধী ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রদত্ত সাজা ২ বছরের জন্য… আইন অনুযায়ী, আদালত তাঁকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দিয়েছে এবং তাঁর পরবর্তী আবেদন না হওয়া পর্যন্ত, সাজা আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে।
সুরাট জেলা আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই রাহুল টুইট করে লিখেছেন, আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার ওপর নির্ভরশীল। সত্যই আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার উপায়- মহাত্মা গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, “রাহুল গান্ধীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম, কারণ তাঁরা বিচারক পরিবর্তন করতে থাকে। আমরা আইন, বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি এবং আইন অনুযায়ী এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।” আবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, “রাহুল গান্ধী যাই বলুক না কেন তা সর্বদা কংগ্রেস দল এবং সমগ্র দেশকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ আমাকে বলেছেন, তাঁর মনোভাবের কারণে কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”