স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৫ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় অভিযোগ করেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কয়েকজন সদস্য তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌরসভায় বিজেপি ও আম আদমি পার্টির (এএপি) কাউন্সিলরদের মধ্যে সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই অভিযোগ করেন।এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র শেলি ওবেয়র আরও বলেন, তাঁর সহকর্মী আশু ঠাকুরের ওপরও বিজেপির আরেকজন কাউন্সিলর হামলা চালিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ আগে মেয়র পৌরসভার অধিবেশন মুলতবি করেন। আগামী সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অব দিল্লির (এমসিডি) ছয় সদস্যের স্থায়ী কমিটির নির্বাচন হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।মেয়র ওবেরয় গতকাল শুক্রবার স্থায়ী কমিটির একটি ভোটকে ‘অবৈধ’ঘোষণা করেন। এরপরই বিজেপির কাউন্সিলরদের সঙ্গে আপের কাউন্সিলরদের হট্টগোল শুরু হয়। দুই দলের কাউন্সিলররা একে অন্যকে ঘুষি, লাথি, চড় মারেন। তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। কোনো কোনো কাউন্সিলরের পোশাকও ছিঁড়ে যায়।আপের বিধায়ক অতীশি সিং অভিযোগ করেছেন, আশু ঠাকুরের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বিজেপির এক সদস্য পৌরসভার গেট পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছেন।অতীশি আরও বলেন, তাঁরা কমলা মার্কেটের থানায় যাবেন। মেয়র ও অন্য নারী কাউন্সিলরদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার জন্য থানায় মামলা করা হবে।বিজেপির একজন কাউন্সিলর এনডিটিভিকে বলেন, ভোট বৈধ। যদি ভোট অবৈধ হতো, তাহলে আপের প্রার্থী জিততেন। এ সময় ওই প্রার্থীর শার্টের বোতাম ছেঁড়া ছিল।পৌরসভায় হট্টগোলের একপর্যায়ে একজন কাউন্সিলর মঞ্চে উঠে মেয়রের মাইক টেনে নেন। বিজেপির কাউন্সিলররা মেয়রের চেয়ার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। গতকালের ভোটের ব্যালট পেপারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়।গতকাল রাতে এক টুইটে মেয়র বলেন, ‘পৌরসভার মধ্যে নারীরা নিরাপদ না থাকলে দিল্লিতে কীভাবে নিরাপদ থাকবে? বিজেপিকে পৌরসভা নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে হবে।’