স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ জুন : টানা ছ’দিন ধরে বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ন্যাশনাল গার্ড (আমেরিকার সেনার একটি বাহিনী যাদের দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়) মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলছে কার্ফু। বুধবার রাতেও তার অন্যথা হল না। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই প্রস্তুত হয়ে রয়েছে সেনা-পুলিশের দল। আলো পড়ে আসতেই দিনভর উত্তপ্ত শহরের পরিস্থিতি যেন থমথমে!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস। চলছে লুটপাট। শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই নয়, একে একে ক্যালিফর্নিয়ার অন্য শহরগুলিতেও ছড়াতে শুরু করেছে বিক্ষোভ। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বড় শহরেও অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস। বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা নামিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে ৪০০০ ন্যাশনাল গার্ড। মেরিনবাহিনীরও প্রায় ৭০০ সদস্যকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা নেমেছে টেক্সাস প্রদেশেও।
।শনিবার থেকে এখনও পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের হাতে ৪০০-রও বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এদের মধ্যে বেশির ভাগ বিক্ষোভকারীকে নিষেধ সত্ত্বেও জমায়েত করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের উপর আক্রমণ কিংবা মলোটভ ককটেল, বন্দুক ইত্যাদি রাখার জন্যও ধরা পড়েছেন কেউ কেউ।
অন্য দিকে, সেনা নামানোর সিদ্ধান্তের পর থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ক্যালিফর্নিয়ার নেতারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। ট্রাম্পের এই দমনপীড়ন ‘লোক দেখানো’ বলেও দাবি করেছেন অনেকে। সরব হয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনও।