স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ মে : ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। নিহত হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ সদস্য। সূত্রের খবর এবার ২০০১-এ নয়া দিল্লির পার্লামেন্ট হামলার এই মূলচক্রীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে নাকি ১৪ কোটি টাকা দিতে চলেছে পাক সরকার!
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অফ পাকিস্তান (এপিপি)-এর দাবি, মাসুদ যদি প্রমাণ করতে পারে যে সেই একমাত্র উত্তরাধিকারি তাহলে সে এই ১৪ কোটি টাকা পাবে। সংসদ হামলার মূলচক্রী মাসুদকে কান্দাহারের ঘটনায় মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। কান্দাহারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান হাইজ্যাক করে তাকে মুক্ত করে জঙ্গিরা। ৬ মে (মঙ্গলবার) মধ্যরাতে ভাওয়ালপুরে জইশের সদর দপ্তর জামিয়া মসজিদ সুভান আল্লায় হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। তাতে মৃত্যু হয় মাসুদের বড় বোন, তার স্বামী, এক ভাগ্নে, তার স্ত্রী, এক ভাইপো এবং জ্ঞাতি সম্পর্কের পাঁচ শিশুরও।
এই ঘটনার পর মাসুদের যে প্রতিক্রিয়া একাধিক সংবাদমাধ্যমে আসে, সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার পরিবারের সদস্যরা আল্লার আশীর্বাদধন্য হয়েছে। পাঁচজন নিষ্পাপ শিশু, আমার বড় বোন, তার স্বামী। আমার ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী, আমার ভাইপো। আমার প্রিয় ভাই (জ্ঞাতি) হুজাইফা এবং তার মা। আরও দু’জন প্রিয় সঙ্গী।” বাস্তবে বিধ্বস্ত হলেও স্বভাব মতো মুখে সেকথা আনেনি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। বরং বলেছে, “আফশোস নেই, হতাশাও নই। বরং, আমার মনে বারবার এই কথা আসছে যে আমিও যদি এই চৌদ্দ সদস্যের সঙ্গে জন্নতের যাত্রায় যোগ দিতে পারতাম।” মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির আরও বক্তব্য, “তাদের চলে যাওয়ার সময় এসেছিল, কিন্তু আল্লা তাদের হত্যা করেননি।”
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে ৬ মে (মঙ্গলবার) গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গার জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। খতম হয়েছিল বহু জেহাদি।
উল্লেখ্য, পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ভারতের ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে। আইএসআইয়ের অঙ্গুলিহেলনে বারবার ভারতকে রক্তাক্ত করেছে জইশ। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী মাসুদ আজহার। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালের সংসদ ভবনে হামলা তথা ২০০৫ সালে অযোধ্যায় বিস্ফোরণ-সহ একাধিক নাশকতায় হাত রয়েছে আজহারের।