স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ মে : অপারেশন সিঁদুরে নাক কাটা গেলেও শোধরানোর নাম নেই পাকিস্তানের। চারদিনের লড়াইয়ের পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি সম্পন্ন হলেও তা ভাঙতে ফের তৎপর শাহবাজ সরকার। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী জানালেন, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এই ঘটনাকে যুদ্ধ হিসেবে দেখা হবে। সমস্যায় পড়তে পারে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি।
অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হলেও সিন্ধুর জল নিয়ে অনড় অবস্থান ভারতের। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিন্ধুর একফোঁটা জলও পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও স্পষ্টভাবে পাকিস্তানকে সে বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। কড়া সুরে মোদি বলেন, “রক্ত ও জল একসঙ্গে বইবে না।” পহেলগাঁও হামলার পরই স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বর্তমান সংঘর্ষবিরতিতে পাকিস্তান আশা করছিল ভারতের সঙ্গে আলোচনায় এই স্থগিতাদেশ হয়তো তুলে নেবে মোদি সরকার। তবে ‘রক্ত ও জল একসঙ্গে বইবে না’ বলে যে বার্তা মোদি দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে সিন্ধু জলচুক্তি থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে পুরোপুরি তালা এঁটে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই ডামাডোলের মাঝেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক মন্ত্রী ইশক দার বলেন, যদি ভারত সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ না করে, তা হলে তা যুদ্ধ বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে পাকিস্তান। এই ধরনের পরিকল্পনা সংঘর্ষবিরতির উপর হামলা হিসেবে দেখবে পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হতে চলা আগামী বৈঠক সিন্ধু জলচুক্তির উপরেই হওয়া উচিত বলে জানান পাক মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতেও মুখ খোলেন ইশক দার। কাশ্মীর সমস্যাকে সীমান্তে উত্তেজনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর সমস্যার যদি কোনও সদর্থক সমাধান না হয় তাহলে ওখানে স্থায়ী শান্তি আসা কঠিন।
যদিও ইশক দার ভারতের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে আলোচনার কথা বললেও, গতকালই মোদি ঠিক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে ঠিক কোন ইস্যুতে আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার যে বার্তা ভারতকে গোটা বিশ্ব দিচ্ছে সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “বিশ্বকে বলব, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি কোনও কথা হয়, তাহলে সেটা হবে সন্ত্রাস বন্ধ নিয়ে। কথা যদি হয় তবে তা হবে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই।”