স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮এপ্রিল : পহেলগাঁও হামলার পরে প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। একাধিক চিনা অস্ত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানের নানা শহরে। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতি আরও এক নতুন বন্ধু পেয়েছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাক বিমানবন্দরে নেমে পড়েছে তুরস্কের হারকিউলিস বিমান। সবমিলিয়ে অন্তত সাতটি অস্ত্রবোঝাই বিমান এসেছে পাকিস্তানে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় নাগরিককে। প্রাথমিক তদন্তে এই হামলায় প্রকাশ্যে এসেছে পাক যোগের তত্ত্ব। সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরম আকার নিয়েছে সেই পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে রবিবার বিবৃতি দিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। পহেলগাঁও কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের যে দাবি পাকিস্তানের তরফে তোলা হয়েছে তা সমর্থন করেন তিনি।
কেবল বিবৃতি দিয়ে মৌখিক সমর্থন নয়, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে চিনের শক্তিশালী পিএল-১৫ মিসাইল। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যে মিসাইল ব্যবহার করে, সেগুলিই পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে। পাক বায়ুসেনার জেএফ-১৭ ফাইটার জেটের মাধ্যমে যেন এই মিসাইল ছোড়া যায়, তার প্রস্তুতিও চলছে। উল্লেখ্য, বহুদূরের টার্গেটে সঠিকভাবে হামলা চালাতে পারে এই মিসাইলগুলি।
চিনের এমন ঢালাও সাহায্যের মাঝেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। সূত্রের খবর, অস্ত্র বোঝাই সাতটি তুর্কি হারকিউলিস বিমান পৌঁছে গিয়েছে করাচির বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমানের ভিতরে ঠিক কী রয়েছে, সেই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পাকিস্তান-তুরস্ক দু’পক্ষই। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কামিকাজে ড্রোন থাকতে পারে এই হারকিউলিস বিমানে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে বিপুল ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কিন্তু দুর্দিনের বন্ধু ভারতের বিরুদ্ধে কৃতজ্ঞতা তো দূর, এখন ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র যোগাচ্ছে তুরস্ক! প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তুরস্কের এই বন্ধুত্বের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে নয়াদিল্লি।