স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর: ইসরায়েল সরকার সোমবার জানিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লার সঙ্গে লড়াইয়ে যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও চুক্তি হওয়ার পথে এখনও কিছু বিষয়ে আলোচনা হওয়া বাকি বলেও সরকার জানিয়েছে।ওদিকে, লেবাননের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাড়াতাড়ি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাত অবসানে চুক্তিতে পৌঁছে গেছে ইসরায়েল-লেবানন।
আমেরিকান নিউজ ওয়েবসাইট ‘এক্সিওজ’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল এবং লেবানন যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়েছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা মঙ্গলবারেই চুক্তিটি অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।অন্যদিকে, জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডানন যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বলেছেন, “আমরা এখনও চুক্তি চূড়ান্ত করিনি। তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তি হতে পারে।” এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, তাদের এই খবরের বিষয়ে কিছু বলার নেই।
যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মাঝেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ দুপক্ষের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা জোর দার করেছে। শনিবার বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়।এর পাল্টা জবাবে রোববার হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে মুহুর্মূহু শত শত রকেট হামলা চালায়। ইসরায়েল ফের এর জবাবে সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
ওদিকে, যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা চলছিল তাতে একটি চুক্তি হওয়ার পথে অগ্রগতি হওয়ার লক্সণ দেখা যায় গত সপ্তাহে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী আমোস হোস্টেইন বৈরুতে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হওয়ার খবর জানান। এরপর তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তারপর ওয়াশিংটনে ফিরে যান।এরপরই ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেঙ্কার বলেন, “আমরা একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু বিষয় নিয়ে এখনও আলোচনা বাকি।” তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।