স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ নভেম্বর: কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার কবলে পড়া স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। কেবল ভ্যালেন্সিয়াতেই ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দু’টি অঞ্চলে মারা গেছে আরও তিনজন। এছাড়াও বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।ভ্যালেন্সিয়াজুড়ে এ পর্যন্ত ২০২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে দুইজন মারা গেছে কাস্তিলা লা মাঞ্চায় এবং আন্দালুসিয়ায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।পূর্বাঞ্চলের ভ্যালেন্সিয়া প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ভবন ও সেতু ভেসে গেছে। সেখানে নিখোঁজদের অনুসন্ধান এবং জীবিতদের সহায়তা করার জন্য প্রায় ৫০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আট ঘণ্টার প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় ভ্যালেন্সিয়ায়। স্পেনের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, সাধারণত এক বছরে স্পেনজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তার সমান বর্ষণ হয়েছে ওই আট ঘণ্টায়।ইউরোপের আবহাওয়াবিদদের মতে, স্মরণকালের ইতিহাসে ইউরোপে যত বিধ্বংসী বন্যা হয়েছে, সেসবের মধ্যে স্পেনের বন্যা অন্যতম।১৯৭০ এর দশকের পর এটিই ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্যা। ১৯৭০ সালে রোমানিয়ায় বন্যায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর স্পেনে এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হল।স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। দোকান, সুপারমার্কেট, স্কুল, গাড়ি সব শেষ।”আবহাওয়াবিদরা বিধ্বংসী এই বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন। তবে স্পেনের বিরোধী রাজনীতিবিদরা সরকারের সমালোচনা করছেন। সরকার সঠিব সময়ে সতর্কবার্তা দেয়নি এবং উদ্ধার তৎপরতায়ও দেরি করেছে বলে অভিযোগ তাদের।