Friday, April 19, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদইউক্রেইন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন দেখছে না রাশিয়া

ইউক্রেইন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন দেখছে না রাশিয়া

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ মার্চ।  ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, শুধু রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে তার দেশ; ইউক্রেইনে চলমান ‘অভিযানে’ তা ব্যবহার করা হবে না।সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পিবিএস নিউজআওয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেসকভ মস্কোর এই অবস্থান তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।

পেসকভ বলেন, “(ইউক্রেইনে) অভিযানে যাই ঘটুক, তাতে এমন কিছু হবে না, যাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণ ঘটে। আমাদের একটি নীতিমালা আছে, যেখানে খুব স্পষ্টভাবেই বলা আছে যে একমাত্র তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে, যখন রাষ্ট্রের, আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে এবং তখনই আমরা আসলে হুমকি দূর করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করব।”যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একজন ‘কসাই’ আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, পুতিন আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পেসকভ বলেন, এটা খুবই ‘আশঙ্কাজনক’।“ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা, অবশ্যই এটা গ্রহণযোগ্য না। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নির্ধারণ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব না।”শনিবার পোল্যান্ডে এক ভাষণে বাইডেন বলেন, “ঈশ্বরের দোহাই, এ লোকটি (পুতিন) আর ক্ষমতায় থাকতে পারে না।”

তার লিখিত ভাষণে এমন বক্তব্য ছিল না। ওই বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। পরে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করে হোয়াইট হাউজ।রুশ বাহিনী ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ইউক্রেইনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, পিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা অস্বীকার করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।যদিও ইউক্রেনীয় বাহিনী, সাংবাদিক এবং সেখান থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা ঘর, স্কুল, হাসপাতালসহ বেসামরিক স্থাপনায় বর্বরোচিত বোমা হামলার বর্ণনা দিচ্ছেন।পেসকভ বলেন, “তারা বাড়িঘরে হামলা করছে না। তারা অ্যাপার্টমেন্টে গোলা ফেলছে না। তারা বেসামরিক স্থাপনায় বোমা ফেলছে না। তারা শুধু গোলা বর্ষণ করছে এবং তা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।”গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য