স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ মার্চ। তুমুল বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ওই এলাকার হাজারও বন্যাদুর্গতকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই অস্বাভাবিক আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও ২৪ ঘণ্টা বজায় থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
কুইন্সল্যান্ডে বন্যার পানিতে আটকে পড়া গাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের পর সর্বশেষ এ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলে এবং কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক শহরকে মার্চের শুরুর দিকে হওয়া ভয়াবহ বন্যার ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সরাতে এখনও লড়তে হচ্ছে। ওই বন্যা অন্তত ২১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, ভাসিয়ে নিয়েছিল কয়েকশ খামার, বাড়ি ও গবাদিপশু।নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরি সেবা বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানি কোকের আশঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ওই সময় ডুবে যাওয়া অনেক ভবন এবার ফের বন্যার কবলে পড়তে পারে।
“এটি দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা, যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা,” সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।আবহাওয়া ব্যুরো মঙ্গলবার নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তর উপকূলের পাঁচশ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় প্রাণসংহারি হড়কা বান দেখা যেতে পারে বলে তাদের সতর্কবার্তায় বলেছে। কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ছয় ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলেছে তারা।নদীর পানি বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরাঞ্চলীয় শহর লিজমোরের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে লিজমোর অন্যতম।টেলিভিশন ফুটেজে শহরটির বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে জরুরি বিভাগের কাছ থেকে বালুর বস্তা নিতে দেখা গেছে।
বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সহায়তা করতে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে প্রায় তিন হাজার ৩০০ সেনাসদস্য মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।ত্রাণকাজে শ্লথগতির কারণে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়া প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা এবং বন্যাকবলিত শহরগুলোকে ‘বিপর্যস্ত অঞ্চল’ ঘোষণা করেছেন, যার ফলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শহরগুলো অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ পাবে।