Saturday, December 21, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদরাশিয়ার আরেকটি সেতু ধ্বংসের দাবি ইউক্রেইনের

রাশিয়ার আরেকটি সেতু ধ্বংসের দাবি ইউক্রেইনের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ আগস্ট: রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে চলমান অভিযানে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সেতু ধসিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেইন।রোববার ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী ওই সেতুতে আঘাত হানার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে আর তাতে সেতুটি কুর্স্কের জোয়ান্নে এলাকায় সেইম নদীর ওপর বলে দাবি করা হয়েছে; জানিয়েছে বিবিসি।এর কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কুর্স্কে সামরিক অভিযানের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার হামলা বন্ধ করতে একটি বাফার জোন সৃষ্টির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেইনে হামলা শুরু করার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেইন।সামাজিক মাধ্যমে সেতুতে আঘাত হানার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ইউক্রেইনীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডারলেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশুক লিখেছেন, “আরও একটি সেতু কমানো হল।“ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী নির্ভুলভাবে আঘাত হানার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের সরবরাহ সক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে, যা বল প্রয়োগের ধারাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করছে।”

ভিডিওতে সেতুর উপর বাড়তে থাকা বড় একটি ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় আর সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে। কখন এই হামলাটি চালানো হয়েছে তা অবশ্য পরিষ্কার হয়নি।শুক্রবার কুর্স্কের গ্লুশকোভো শহরের কাছে সেইম নদীর উপর আরেকটি সেতু ধ্বংসের কথা জানিয়েছিল ইউক্রেইন। সেনা সরবরাহ করতে ক্রেমলিন এই সেতুটি ব্যবহার করে আসছিল।বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, সেনা পাঠানোর কাজে ক্রেমলিনের ব্যবহার করা ওই এলাকার তিনটি সেতু শনাক্ত করেছেন সামরিক বিশ্লেষকরা, ইউক্রেইনের হামলায় যেগুলোর দুটি ধ্বংস বা খুবই বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেইনের দুই সপ্তাহর অভিযানের পর এখন এটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে যে ইউক্রেইনীয় বাহিনী সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থান করতে যাচ্ছে।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার বলেন, কুর্স্ক অঞ্চলে তার সেনারা শক্তিশালী অবস্থানে আছেন এবং পরবর্তীতে তারা আরও অগ্রসর হবে।

দখল করা অঞ্চলগুলোকে ‘বিনিময় তহবিল’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে ইউক্রেইনে মস্কোর দখল করা অঞ্চল বিনিময় করা যেতে পারে।ইউক্রেইনের আকস্মিক এই সামরিক অভিযানে কুর্স্কের ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে গেছে।তবে রাশিয়ার ওই অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিলেও কিইভ বলছে সেই সব অঞ্চল তারা ‘দখল করতে চায় না’।ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সহযোগী শুক্রবার বলেছেন, “ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ড দখলে আগ্রহী নয়।”ইউক্রেইনের সেনারা গত ৬ অগাস্ট রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুর্স্ক অঞ্চলে হঠাৎ করেই অনুপ্রবেশ করে। এরপর সাত দিনেই ওই অঞ্চলের ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করে ইউক্রেইন।দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বৃহস্পতিবার বলেছেন, কুর্স্কে তারা একটি সামরিক কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছেন। তাদের সেনারা এখনও অগ্রসর হয়ে চলেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য