স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৪ অগস্ট ২০২৪ :- ”আমাকে বোকা বানাবেন না।” কটু ভাষায় এভাবেই নাকি জো বাইডেন আক্রমণ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এমনই দাবি। যদিও কোনও সরকারি সূত্রের উল্লেখ তারা করেনি। কিন্তু বাইডেন-নেতানিয়াহু সংঘর্ষ ঘিরে গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছে।
কেন হঠাৎ এত রেগে গেলেন বাইডেন? শোনা যাচ্ছে, নেতানিয়াহু নাকি বাইডেনকে বলেছিলেন হামাসের কাছে থাকা ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করতে তাঁরা আপস করতে রাজি। এবং শিগগিরি তাঁর সরকারের প্রতিনিধি দল হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। এর পরই নাকি বাইডেন কটু ভাষায় নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ”প্রেসিডেন্টকে হালকা ভাবে নেবেন না।”
এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহ। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের এহেন মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। বাইডেন ইরানকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতেও নিরস্ত করেছেন।
এদিকে বাইডেনের এমন রণং দেহি হাবভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইজরায়েলও। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এক বিবৃতি পেশ করা হয়েছে শনিবার। সেখানে বলা হয়েছে, ”প্রধানমন্ত্রী (নেতানিয়াহু) কিন্তু মার্কিন রাজনীতিতে নাক গলান না। এবং যিনিই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে সম্মত তিনি। তাহলে তিনি এটাও প্রত্য়াশা করবেন যে আমেরিকাও ইজরায়েলের রাজনীতিতে নাক গলাবে না।”
এদিকে ইজরায়েলের আর এক সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা বাইডেন বার বারই তাঁকে নিরস্ত করেছেন ইরানের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে। সব মিলিয়ে নেতানিয়াহু ও বাইডেনের মধ্যে সম্পর্কের যে অবনতি হচ্ছে তা নিশ্চিত। ফলে আগামিদিনে ইজরায়েলের সঙ্গে আমেরিকার রাজনৈতিক সমীকরণে কোনও পরিবর্তন হয় কিনা, সেদিকেও তাকিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।