স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ জুলাই: ফ্লোরিডা-ডেইড পুলিশ জানায়, হার্ড রক স্টেডিয়ামে রোববার কোপা আমেরিকার ফাইনাল শেষে মিডিয়া টানেলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় ওই দুজনকে আটক করা হয়েছিল।পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাত ১২টা ২০ মিনিটে ওই ঘটনা ঘটে। মিডিয়া টানেলে তখন সংবাদকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। সেখানেই মাঠে ঢোকার চেষ্টায় একাধিক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান ওই দুজন। একজন নিরাপত্তকর্মী ছিলেন ইউনিফর্ম ছাড়া। তার দায়িত্ব ছিল দর্শকদের ঠেকানো। পুলিশ জানায়, রামন জামিলকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই নিরাপত্তকর্মী। তখন দ্রুতই ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার শুরু করেন বাবা-ছেলে দুজনই। এক পর্যায়ে ওই নিরাপত্তাকর্মীর ঘাড়ে ধরে মাঠে টেনে নিয়ে যায় রামন জামিল।
এরপর তাকে ঘুষি ও মাথায় লাথিও মারেন ফুটবলপ্রধানের ছেলে।পরে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোর ৪টা ১০ মিনিটে টার্নার গিলফোর্ড নাইট কারেকশনাল সেন্টারে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। পরদিন বিকেলে মায়ামি-ডেইড বিচারকের সামনে হাজির হয়ে তারা জামিন নেন।তাদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে পুলিশ। কলম্বিয়ার ফুটবল ফেডারেশন এই ঘটনা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার এই ফাইনাল ম্যাচের আগেও তুমুল গন্ডগোল হয়ে যায়। টিকিটবিহীন অনেক দর্শক মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি ফুটবলারের পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।গেট খোলার পরও দর্শকদের অনেকে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান, ব্যারিকেড ভেঙে ও দেয়াল টপকে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। দুই ডজনের বেশি সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়, ৫০ জনের বেশি সমর্থককে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।মায়ামি-ডেইড ফায়ার রেসকিউ কর্তুপক্ষ জানায়, রোববার মোট ১২০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়, এর মধ্যে ১১৬টিই ছিল মেডিকেল-সংক্রান্ত।
হার্ড রক স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আটশর বেশি নিরাপত্তাকর্মী রাখা হয়েছিল মাঠে, সাধারণ সময়ের চেয়ে যা দ্বিগুণের বেশি। তার পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় তাদেরকে।এসব ঝামেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৮০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। গোলশুন্য ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্তিনেসের গোলে শিরোপা ধরে রাখে আর্জেন্টিনা।