স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ মার্চ : কোভিড প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যান্টিবডি ককটেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন এমনকী সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বিএ.২ উপধরন প্রতিরোধের সক্ষমতা রাখে, এমনটিই দেখা গেছে গবেষণাগারের পরীক্ষায়।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষণাগারে স্বাধীনভাবে এই পরীক্ষা চালানো হয়। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এই ককটেল থেরাপি ইঁদুরের ফুসফুসে ওমিক্রনের সব উপধরনের (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) নমুনা পরীক্ষায় চিহ্নিত হওয়া ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ সোমবার এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করে। তবে তারা এও বলেছে, গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই অ্যান্টিবডি ককটেলের নাম দেওয়া হয়েছে ইভুশিল্ড। এটি ওমিক্রনের বিএ.১, বিএ১.১ এবং বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ফুসফুসের প্রদাহও অনেকটা কমায়।অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্বাহী জন পেরেজ বলেন, ‘‘ওই সব রোগী যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের সুরক্ষায় ভবিষ্যতে ইভুশিল্ড যে সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই পরীক্ষা থেকে সেটিই প্রতীয়মান হচ্ছে।”
টিকা আবিষ্কারের পর বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ এবং পরীক্ষা উভয়ই কমেছে। এদিকে, চীনসহ কয়েকটি দেশে আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।টিকা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। কিন্তু ইভুশিল্ডে গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিবডি আছে। যেটি মানবদেহে মাসের পর মাস সক্রিয় থাকে এবং দেহ ভাইরাস আক্রান্ত হলে তা প্রতিরোধ করতে পারে।যুক্তরাজ্য গত সপ্তাহে প্রাপ্ত বয়স্ক ওইসব ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়া আটকাতে ইভুশিল্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে এটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রও এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।এখন এই গবেষণা তথ্য নিশ্চিতভাবেই আশার আলো আরও বাড়িয়ে দেবে।