স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ জুন: দুই দশকেরবেশি সময় পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেনরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে দ্বিপক্ষীয়বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিবিড় করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়াসফরের প্রাক্কালে পুতিনএই প্রতিশ্রুতি দেন।এ দিনই মধ্যরাতে তিনিদেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছান।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি, ব্ল্যাকমেইল ও অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা করে চলার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করেছেন পুতিন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে পুতিন দেশটির নেতা ‘কমরেড’ কিমেরও প্রশংসা করেন।তাছাড়া, ইউরেশিয়া জুড়ে বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করতে একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা এবং অবৈধভাবে চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপত্র রোডোং সিনমুনের প্রথম পাতায় প্রকাশিত এই নিবন্ধে পুতিন বলেন, “ওয়াশিংটন আগে সম্মত হওয়া চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। তারা অনবরতই নতুন সব কঠিন এবং অগ্রহণযোগ্য দাবি জানাচ্ছে।
“রাশিয়া সবসময়ই উত্তর কোরিয়া (ডিপিআরকে) ও বীরোচিত কোরিয়ান জনগণকে তাদের বিপজ্জনক,আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং সমর্থন দিয়ে যাবে।”উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে রাশিয়ার প্রশংসা করেও নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। এতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকেও সমর্থন জানানো হয়। এ যুদ্ধকে সব রাশিয়ানের জন্য পবিত্র যুদ্ধ আখ্যা দেওয়া হয় নিবন্ধে।ইউক্রেইন যুদ্ধে ব্যবহরের জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১১ হাজার কন্টেইনারের বেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে- এমন অভিযোগের মধ্যেই দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন পুতিন।
দুই দিনের সফরেইউক্রেইন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পুতিন আরও সহযোগিতা চাইতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।উত্তর কোরিয়া সফরের জন্য নেতা কিম জং উনের আমন্ত্রণ পুতিন গ্রহণ করেছিলেন গত বছর সেপ্টেম্বরে। সে সময় কিম রাশিয়া সফর করেছিলেন। দুই নেতা রাশিয়ার প্রত্যন্ত পূর্ব সীমান্ত এলাকায় বৈঠক করেন। ওই বৈঠক ছিল দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া। আর এবার সেই বন্ধনে দৃঢ়তার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জন্য পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কারণ, রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায় ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর পর থেকে এ পর্যন্ত কোনও বিশ্ব নেতা ভ্রমণ করেননি।