স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ জুন: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। দুই দিনের জন্য এ সফরে যাচ্ছেন তিনি। দুই দশকেরও বেশি সময় পর উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়ার কোনও প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম সফর।পুতিন সর্বশেষ ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার যাত্রা শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ায় সফর করেছিলেন। তখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন কিম জং ইল; যিনি দেশটির বতর্মান নেতা কিম জং-উনের বাবা।
পরবর্তীতে ২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এবছরই পুতিন উত্তর কোরিয়ায় এই বিরল সফরে যাচ্ছেন। রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক যে গভীর হয়েছে- এটি তারই সর্বশেষ উদাহরণ। দুই দেশের এই সখ্য নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন।পুতিনের আসন্ন এই সফরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পশ্চিমারা এই সফরের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখছে।
পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করতে পারেন বলে জল্পনা ছিল আগে থেকেই। অবশেষে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সোমবার তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতেও দেখা গেছে, পিয়ংইয়ং এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।উত্তর কোরিয়া সফরের জন্য নেতা কিম জং উনের আমন্ত্রণ পুতিন গ্রহণ করেছিলেন গত বছর সেপ্টেম্বরে। সে সময় কিম রাশিয়া সফর করেছিলেন। দুই নেতা রাশিয়ার প্রত্যন্ত পূর্ব সীমান্ত এলাকায় বৈঠক করেন। ওই বৈঠক ছিল দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া। আর এবার সেই বন্ধনে দৃঢ়তার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের জন্যও পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কারণ, রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায় ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর পর থেকে এ পর্যন্ত কোনও বিশ্ব নেতা ভ্রমণ করেননি।পুতিনের এবারের সফরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টিতে মনোনিবেশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কৃষি, পর্যটন ও সামাজিক নানা বিষয়ে পারস্পরিক আদানপ্রদান বাড়ানোর বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।উত্তর কোরিয়া সফরের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দুইদিনের সফরে ভিয়েতনাম যাবেন।