স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ এপ্রিল: ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এনজিও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত কর্মী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পোল্যান্ড, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার তিন এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার এক দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন।সোমবার গাজার মধ্যাংশের দাইর আল বালাহ এলাকায় হামলাটি চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে ডব্লিউসিকের ওই দলটির ফিলিস্তিনি গাড়িচালকও রয়েছেন; জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ডব্লিউসিকে বলেছে, “গাজায় মানবিক খাদ্য সরবরাহ উদ্যোগের সমর্থনে কাজ করার সময় আইডিএফের (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন টিমের সদস্যরা নিহত হয়েছেন এমন খবর জেনেছি আমরা।
এটি একটি শোচনীয় ঘটনা। মানবিক ত্রাণ কর্মী ও বেসামরিকদের কখনোই লক্ষ্যস্থল করা উচিত না। কখনোই না।”আল জাজিরা জানিয়েছে, ওই হামলায় নিহত আরও একজন আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মী রয়েছেন বলে ডব্লিউসিকের কর্মীরা তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু মুখমণ্ডলসহ দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ায় এই ত্রাণকর্মীকে তখনো পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি।ফিলিস্তিনি এক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই মানবিক ত্রাণকর্মীরা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের লোগো সম্বলিত বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা ছিলেন।দাইর আল বালাহ এলাকার আল আকসা হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায়, সেখানে নিহতদের মধ্যে চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের ‘আতঙ্কিত করার উদ্দেশ্যেই’ এ হামলা চালানো হয়েছে যেন তারা তাদের মিশন অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকে।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের বিমান হামলায় ত্রাণকর্মীদের নিহতের বিষয়টিকে ‘শোচনীয় ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছে। কোন পরিস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।এ হামলায় অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মী লালজাওমি ‘জোমি’ ফ্রাঙ্ককম নিহত হয়েছেন, এটি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।ডব্লিউসিকে অভাবী মানুষজনের জন্য খাবার তৈরি করে সেগুলো ত্রাণ হিসেবে সরবরাহ করে। গত মাসে এনজিওটি জানিয়েছিল, তারা ১৭৫ দিনে গাজায় চার কোটি ২০ লাখেরও বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছে।