স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি :ইয়েমেনের হুতিরা জানিয়েছে, তারা লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে আঘাত হেনেছে।এটি লোহিত সাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে চালানো সর্বশেষ হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত ওই জাহাজটির নাম ‘কেওআই’ বলে জানিয়েছে হুতিরা। সামুদ্রিক নিরাপত্তা কোম্পানি অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের এডেন বন্দরের দক্ষিণে সাগরে চলমান একটি জলযান তাদের জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে।
তবে অ্যামব্রে জাহাজটির নাম জানায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও একইদিন ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাতে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা ১০টি ড্রোন লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।হামলায় ড্রোনগুলোসহ হুতিদের ড্রোন নিয়ন্ত্রণের স্থল স্টেশনটিও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এডেন উপসাগরে তিনটি ইরানি ড্রোন ও হুতিদের ছোড়া একটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ধ্বংস করেছে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেওআই লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওশেনিক্স সার্ভিস এটি পরিচালনা করে। একই কোম্পানির বহরের তেলবাহী ট্যাংকার মারলিন লুয়ান্ডা শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগর ও সংলগ্ন জলসীমায় ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে হুতিরা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ার স্থানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে; লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দেওয়াই তাদের এসব হামলার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে তারা।কিন্তু মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলার পর হুতিরা ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোও তাদের ‘বৈধ লক্ষ্যস্থল’ বলে ঘোষণা করেছে। হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বুধবার বলেছেন, তাদের সশস্ত্র বাহিনী ‘বেশ কয়েকটি যথাযথ নৌ ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করে কেওআই নামের একটি আমেরিকান বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যস্থল করেছে। জাহাজটি ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরের দিকে’ যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে ইসরায়েলকে বোঝাতে হুতিরা এই বাক্যাংশটি ব্যবহার করে।ইয়েমেন ‘ব্রিটিশ-আমেরিকান আগ্রাসনের’ জবাব দিতে ‘ইতস্তত করবে না’ বলে ঘোষণা করেন তিনি।লোহিত সাগরে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের গতি মন্থর হয়ে গেছে। এতে পণ্য সরবরাহে জট সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।