স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৮ জুন: চীনের ৩৭টি সামরিক বিমান আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে প্রবেশ করেছে, এমন খবরে বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি সক্রিয় করে তাইওয়ান। এরপর চীনা বিমানগুলোর মধ্যে কিছু পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে যায় বলে জান গেছে।বৃহস্পতিবারের এ ঘটনা তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে বেইজিংয়ের ‘গণঅনুপ্রবেশ’ এর সর্বশেষ পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল বলে বিবেচনা করে চীন। গত তিন বছর ধরে এই দ্বীপটির আকাশসীমার কাছে নিয়মিত নিজেদের সামরিক বিমান উড়িয়ে চলছে বেইজিং, তবে আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা (স্থানীয় সময়) থেকে তারা চীনের বিমান বাহিনীর ৩৭টি বিমান শনাক্ত করেছে, সেগুলো তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ জোনের (এডিআইজেড) দক্ষিণপশ্চিম পাশ দিয়ে উড়ছিল।চীনের এসব বিমানের মধ্যে জে-১১ ও জে-১৬ জঙ্গি এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান ছিল বলে জানিয়েছে তারা।তাইওয়ান নিজেদের বাহিনীগুলোকে হুমকির ক্ষেত্রে সাড়া দেওয়ার বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় দিতে যে বিস্তৃত এলাকায় টহল ও নজরদারি চালায় সেটিই এডিআইজেড। এক বিবৃতিতে দ্বীপটির মন্ত্রণালয়টি বলেছে, কিছু চীনা বিমান ‘আকাশপথে নজরদারি ও দীর্ঘ দূরত্বে বিমান চালনা প্রশিক্ষণ’ সম্পন্ন করতে তাইওয়ানের দক্ষিণপূর্ব দিয়ে উড়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চলে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে তাইওয়ান তাদের বিমান ও জাহাজগুলোকে সেদিকে পাঠায় এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতিকে সচল করে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের করা অনুরোধে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।বুধবার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে রাশিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ বিমান টহলের দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন করেছে চীন। এর আগেরদিন জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে টহল ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল দেশ দুটি। ওই সময় নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে জাপান উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। তাইওয়ানের উপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি দ্বীপটির সরকার প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধু জনগণ।