Tuesday, January 14, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদমার্সিডিজ গাড়ি চালিয়ে ক্রাইমিয়া সেতু পার হলেন পুতিন

মার্সিডিজ গাড়ি চালিয়ে ক্রাইমিয়া সেতু পার হলেন পুতিন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৬ ডিসেম্বর: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি মার্সিডিজ গাড়ি চালিয়ে ক্রাইমিয়া সেতু পার হয়েছেন। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্তকারী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।    সোমবার সেতুটি পার হওয়ার সময় রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন পুতিনের সঙ্গে ছিলেন।রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে পুতিনকে মার্সিডিজ গাড়িটির চালকে আসনে দেখা গেছে, সেতুর কোন অংশে হামলাটি হয়েছে এ সময় তা নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন তিনি; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।অক্টোবরের প্রথমদিকের ওই বিস্ফোরণে সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়ার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নিজে গাড়ি চালিয়ে সেতুটি পার হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।২০১৮ সালে পুতিন ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক ও রেল সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন। ইউরোপ মহাদেশের বৃহত্তম এই সেতুটিকে রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৮ অক্টোবর সেতুটিতে ঘটা বোমা বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়া ইউক্রেইনকে দায়ী করেছিল।গাড়ি চালিয়ে সেতুটি পার হওয়ার সময় পুতিন বলেন, “আমরা ডান দিক দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। যা বুঝলাম সেতুটির বাম পাশে কাজ হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ হওয়া দরকার। এখনও একটু কাজ বাকি আছে, এটিকে আদর্শ অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে।”

পুতিন সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখার জন্য কিছুটা হেঁটে যান, সেখানে আগুনে ঝলসে যাওয়ার দাগ দেখা যাচ্ছিল। পুতিনের ৭০তম জন্মদিনের পরদিন ভোরে সেতুটিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, কিন্তু ইউক্রেইন কখনো এর দায় স্বীকার করেনি। ইউক্রেইনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলা সংগঠিত করেছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের।বিস্ফোরণে সেতুটির সড়ক পাশের একটি অংশ ধসে পড়ে, এতে গুরুত্বপূর্ণ কের্চ প্রণালীতে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বিস্ফোরণে পাশের রেল সেতুতে রাশিয়া থেকে ক্রাইমিয়ার পথে থাকা একটি ট্রেনের জ্বালানিবাহী সাতটি ট্যাংকার ওয়াগনও ধ্বংস হয়।রাশিয়ার ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের আমলে সোভিয়েত রাশিয়া থেকে সোভিয়েত ইউক্রেইনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর ১৯৯৪ সালে তৎকালীন রাশিয়া তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া ২০১৪ সালে কৃষ্ণ সাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপদ্বীপটিকে ফের নিজেদের ভূখণ্ডভুক্ত করে নেয়।  ইউক্রেইন ক্রাইমিয়া ফেরত নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। প্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি সরবরাহের জন্য উপদ্বীপটি এখন এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য