স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর: ফিলিপিন্সে টাইফুন নোরুর তাণ্ডবের মধ্যে ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে ও লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। ওই উদ্ধারকর্মীরা রাজধানী ম্যানিলার উত্তরে সান মিগুয়েল জেলায় উদ্ধারকাজ চালানোর সময় হড়কা বানে ভেসে যায়।বিবিসি জানিয়েছে, টাইফুন নোরুর তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে সান মিগুয়েল অন্যতম। টাইফুনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে এখানকার অনেক এলাকা বুক সমান পানিতে তলিয়ে গেছে, বহু বাসিন্দা তাদের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়ে আছেন আবার অনেক পানি ভেঙে নিরাপদ এলাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।টাইফুনটি ফিলিপিন্সের সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকা লুজনের ওপর দিয়ে ঝড়ো হওয়ার বেগ নিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায়। দেশটির ১১ কোটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লুজন অঞ্চলে বসাবস করে।নোরু, যা স্থানীয়ভাবে কারদিং নামে পরিচিত হচ্ছে, প্রথম একটি সুপার টাইফুন হিসেবে স্থলে উঠে এসেছিল; কিন্তু রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় এটি ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জে ছেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সান মিগুয়েলের সান ভিনসেন্ট গ্রামে এক ব্যক্তিকে অযথাই তার ঘর থেকে পানি সরানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে; আরেক ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, দেশের নেতাদের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দেওয়া’ দরকার। টাইফুনটির গমনপথ বরাবর এলাকাগুলো থেকে ৭৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ম্যানিলায় ‘গুরুতর বন্যা’ দেখা দিতে পারেন বলে সতর্ক করেছিলেন দেশটির কমর্কর্তারা। তবে শেষ খবর পর্যন্ত রাজধানীতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।ম্যানিলার পূর্বে কেজন প্রদেশে জেলেদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেখানে অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।ফ্লাইট ও ফেরি সার্ভিস বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র লুজনে সব সরকারি কাজ স্থগিত করেছেন এবং স্কুলে ক্লাস বাতিল করেছেন।ম্যানিলার উত্তরপূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী দিনগালান শহরে বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।