স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৮ ফেব্রুয়ারি : ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলেও একাধিকবার পদবীর জেরে ‘দেশদ্রোহী’ খোঁটা খেতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান ভুলে নেটপাড়াতেও বারবার দাবি করা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে চলে যান।’ তৎসত্ত্বেও বারবার আন্তর্জাতিক ময়দানে গর্বের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন সলমন খান । কখনও সিনেমার মাধ্যমে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন তো কখনও বা আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলে দুস্থদের সাহায্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আদতে মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী। সলমন আদতে ‘সর্বধর্ম সমন্বয়ে’ বিশ্বাস করেন। তাঁর বাড়িতে যেমন ঘটা করে গণেশ চতুর্থী, দিওয়ালি পালন হয়, তেমনই ঈদ উদযাপন হয়। তবে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও গোমাংস ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেন না সলমন খান।
বছর খানেক আগে জনপ্রিয় টক শো ‘আপ কি আদালত’-এর অতিথি হিসেবে এসেছিলেন সলমন। সেখানেই ভাইজান জানান, কেন তিনি গোমাংস খান না। বলিুড সুপারস্টারের কথায়, হিন্দু ধর্মে যেমন গোরুকে মাতৃরূপে পুজো করা হয়, তেমনই তাঁর কাছেও গোমাতা মায়ের মতোই। ‘আপ কি আদালত’-এ তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সলমন খান কী খেতে পছন্দ করেন? তার প্রত্যুত্তরেই ভাইজান জানান, “আমি গোমাংস এবং পর্ক (শুয়োরের মাংস) ছাড়া সবকিছু খাই। গোমাতা তো আমাদেরও মা। আমি বিশ্বাস করি, সেই অর্থে আমারও মা। আসলে আমার নিজের মা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর বাবা মুসলিম। এদিকে আমার আরেক মা হেলেন খ্রিস্টান। আমার মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকি আমি। আমার কাছে সব ধর্মই সমান। প্রত্যেকেরই উচিত সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করা।” এরপরই ভাইজানের সংযোজন, “আমাকে সব ধর্মের মানুষই বলতে পারেন। আমার বাড়িটাই একটুকরো হিন্দুস্তান।”
প্রসঙ্গত, চব্বিশের গোটা বছর সলমনের পরিবারের বেশ আতঙ্কে কেটেছে। প্রথমার্ধে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের আক্রমণ। তার পর মাসখানেক ধরে খুনের হুমকি। তবে দমে যাননি ভাইজান। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সলমনের ঝুলিতেও এখন একগুচ্ছ কাজ। ‘সিকন্দর’-এর পর আবারও অ্যাটলির মেগাবাজেট দক্ষিণী সিনেমার অভিনয় করবেন তিনি।