স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ জুলাই : ধুলোচাপা ইতিহাসের পাঁজর খুঁড়ে আরও এক প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ ভারতে। কর্নাটকের রায়চুর জেলার মাসকি শহরে খননকার্য চালিয়ে পত্নতত্ত্ববিদরা খোঁজ পেলেন ৪ হাজার বছরের প্রাচীন এক সভ্যতার। মাটির নিচ থেকে উঠে এল প্রাচীন বাসন, কড়াই, অস্ত্র-সহ আরও বহু কিছু। যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় চার হাজার বছর আগেও এই অঞ্চলে বাস করতেন আমাদের পূর্বপুরুষরা।
প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন পেয়ে মাসকি শহরের মল্লিকার্জুন পাহাড় এবং অঞ্জনেয় স্বামী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় খননকাজ শুরু করেছিলেন ভারত, আমেরিকা ও কানাডার ২০ সদস্যের একটি পত্নতাত্ত্বিক দল। এই দলে ছিলেন, ভারতের নয়ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেমন্ত কাদম্বি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু এম বাওয়ার এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার জি জোহানসনের মতো বিজ্ঞানীরা। ভারতের পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ বা আইএসআই-এর অনুমতি নিয়ে শুরু হয় খননকার্য। মাটি থেকে কয়েক ফুট খননকার্য চালানোর পরই একে একে উঠে আসতে থাকে প্রাচীন সব সামগ্রী।
পুরাতত্ত্ববিদদের দাবি, ওই অঞ্চল থেকে পাওয়া প্রাচীন সামগ্রীগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১১ থেকে ১৪ শতকের। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে, রান্নার মাটির বাসন, পাত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম। যা ইঙ্গিত দেয় সেই সময়ের মানব সভ্যতা এবং তাদের সংস্কৃতির। এই সব সামগ্রী খতিয়ে দেখে আরও নানা তথ্য সামনে আসবে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই অঞ্চলে আরও গভীর খননকাজ চালালে আরও বহু ঐতিহাসিক রহস্য উন্মোচন হতে পারে।
তবে এই অঞ্চলে এহেন আবিষ্কার প্রথমবার নয়, এর আগে ১৯১৫ সালের গোড়ার দিকে এই এলাকায় খনন ও একটি গুহায় মিলেছিল শিলালিপি। যেখানে মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজকীয় উপাধি “দেবনপ্রিয়” (দেবতাদের প্রিয়) উল্লেখ করা হয়েছিল। এই শিলালিপিটি মৌর্য যুগের প্রাচীনতম প্রমাণগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। এরপর ফের এই আবিষ্কার ভারতের প্রাচীন ইতিহাস অনুসন্ধানকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছেন পুরাতত্ত্ববিদরা।

