Saturday, May 17, 2025
বাড়িখেলা৮৬৯ কোটি টাকার লোকসান! মা ভবানী দশা পাক বোর্ডের

৮৬৯ কোটি টাকার লোকসান! মা ভবানী দশা পাক বোর্ডের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক ১৭ মার্চ : ২৯ বছর পর পাকভূমে আয়োজিত হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট আয়োজন করে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা পাক বোর্ডের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করলে বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের অবস্থান মজবুত হবে। আর্থিকভাবেও লাভবান হবে তারা। এমনটাই ছিল পিসিবির আশা। কিন্তু ঘটল একেবারে উলটোটা। পাকিস্তান ছিটকে যায় গ্রুপ পর্ব থেকে। আর এতে বড়সড় অর্থ সংকটে পড়েছে পিসিবি। জানা গিয়েছে, এর জন্য ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-তেও কোপ পড়েছে।

হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান ঘরের মাঠে একটিই মাত্র ম্যাচ খেলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতেও হারের মুখ দেখে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে তাদের যেতে হয়েছিল দুবাই। অন্যদিকে, রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। সুতরাং জয়ের মুখ না দেখেই বিদায় নেন রিজওয়ানরা। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান প্রায় ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি খরচ করেছে। এই পরিমাণ টাকা রাওয়ালপিণ্ডি, লাহোর এবং করাচিতে তিনটি স্টেডিয়াম সংস্কারে ব্যয় করা হয়েছে। যা মূল বাজেটের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।

এছাড়াও প্রতিযোগিতা আয়োজনে ৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে পিসিবি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বরং মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে পিসিবি। টিকিট বিক্রি এবং স্পনসরশিপ থেকে এই অর্থ উপার্জন করেছে পাক বোর্ড। সবমিলিয়ে তাদের ৮৬৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

সূত্রের খবর, পিসিবি ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফি-র ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে, রিজার্ভ খেলোয়াড়দের ফি ৮৭.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ ক্রিকেটাররা যেখানে ৪০ হাজার পেতেন, তা কমিয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তাছাড়াও, আগে ক্রিকেটাররা পাঁচতারা হোটেলে থাকতেন। এখন তাঁদের জন্য বরাদ্দ সাধারণ মানের হোটেল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!