স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ নভেম্বর : ফের অশান্ত মণিপুর। তিন সন্তানের মাকে ধর্ষণ করে স্বামীর সামনেই জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল উত্তর-পূর্বের রাজ্য। চলল গ্রাম জুড়ে লুটপাট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মণিপুরের জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামে অন্তত ১৭টি বাড়ি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ৩১ বছরের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এর পরই ওই মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ, এর পর হামলাকারীরা গ্রামে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। আগুন লাগিয়ে দেয়। নিহত মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, নির্যাতিতাকে ধর্ষণে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। যদিও এখনও পর্যন্ত আততায়ীদের পরিচয় সামনে আসেনি। পুলিশের সন্দেহ, হামলাকারীরা স্থানীয় বাসিন্দাই। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। মৃতার দেহের ময়নাতদন্তের জন্য অসমের শিলচরে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল মণিপুর। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ২০০’র বেশি মানুষের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু ঘরবাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানোর পাশাপাশি গোটা রাজ্যে লাগু করা হয়েছিল আফস্পা। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি অক্টোবর মাসে পুনরায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়। এদিকে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুরের একাধিক এলাকা। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়। এর পর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বহু এলাকা। এবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হল মণিপুর। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন কুকি, জোমি, হমার গোষ্ঠীর নেতারা।