স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ অক্টোবর: হরিয়ানায় জয়ের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস। দশ বছর পর হাত শিবির উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে পারে, বলেছে প্রায় সব ভোট পরবর্তী সমীক্ষা। কিন্তু ভোট পরবর্তী সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে দড়ি টানাটানি। দাবিদার তিন, শেষ পর্যন্ত যদি কংগ্রেস জেতে তাহলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। আবার কংগ্রেস যদি সামান্য ব্যবধানে জেতে তাহলে এই তিন শিবিরের দড়ি টানাটানির সুযোগ নিতে পারে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার তিন নেতাকে নিয়ে হাত শিবিরও দ্বিধাবিভক্ত। দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা, ওয়ার্কিং কমিটির দুই সদস্য রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং কুমারী শৈলজা প্রকাশ্যেই হরিয়ানার কুর্সিতে বসার বাসনা ব্যক্ত করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন। এর মধ্যে হুডার দাবি সবচেয়ে জোরালো। দলের প্রচার অভিযান থেকে শুরু করে টিকিট বিতরণ সবেতেই প্রাধান্য পেয়েছেন তিনি। হরিয়ানায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেতা ৭৭ বছর বয়সী এই জাঠ বৃদ্ধ। বস্তুত ঘোষণা না করলেও কংগ্রেস ভোটের আগে একপ্রকার বুঝিয়েই দিয়েছে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হুডাই।
কিন্তু টুইস্ট আছে। সেই টুইস্টের নাম কুমারী শৈলজা। শৈলজা হুডার মতো জনপ্রিয় না হলেও হরিয়ানার সবচেয়ে বড় দলিত নেত্রী। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ, সোনিয়া গান্ধীর স্নেহধন্যা। ভোটের আগে থেকেই শৈলজা মুখ্যমন্ত্রী পদে দাবি জানিয়ে রেখেছেন। এমনকী সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। শৈলজার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট তিনি দলিত। আর রাহুল গান্ধী ইদানিং দলিত রাজনীতির ‘মসিহা’ হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে শৈলজাকে তিনি এগিয়ে দিতেই পারেন। আরেক দাবিদার সুরজেওয়ালা অবশ্য লড়াইয়ে অনেকটাই পিছনে। মূল লড়াই শৈলজা এবং হুডার।
ইতিমধ্যেই দুই শিবিরের বয়ানবাজি শুরু হয়ে গিয়েছে। হুডা শিবিরের এক প্রার্থী বলে দিয়েছেন, হুডার নেতৃত্বে ভোটে নেমেছে কংগ্রেস। নিশ্চিতভাবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আবার শৈলজা শিবিরের বক্তব্য এক্সিট পোলের ফলেই স্পষ্ট হরিয়ানা প্রথম দলিত মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পাচ্ছে। যদিও ভোটের আগে আগ্রাসীভাবে হুডা এবং শৈলজা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন সেটার থেকে সুর এখন অনেকটাই নরম। দুজনেই এখন বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটা ঠিক করবে দলের বিধায়করা এবং হাই কম্যান্ড। এখন কংগ্রেস জিতলে কাকে মুখ্যমন্ত্রী বাছেন রাহুল গান্ধী।