Saturday, May 24, 2025
বাড়িরাজ্যবিয়ের নয় মাসের মাথায় গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনার নয়া মোড়, গ্রেপ্তার দেবর

বিয়ের নয় মাসের মাথায় গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনার নয়া মোড়, গ্রেপ্তার দেবর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জুলাই : বিয়ের নয় মাসের মাথায় গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। স্বামীর পরকীয়ার জেরেই খুন হতে হয়েছে স্ত্রী কাজলি দেবকে। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানাধীন নয়াপাড়ার প্রগতি রোড এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সামাজিকভাবে একই এলাকার বিশ্ব দাসের সাথে বিয়ে হয় কাজলি দেবের। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পারে কাজলি দেব।

 তারপরই সংসারে শুরু হয় অশান্তি। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়ে কাজলি দেব জানার পর স্বামী সহ দেবর অশোক দাস, শশুর অজিত দাস ও শাশুড়ি প্রীতি দাস কাজলি দেবের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে ২৫ জুলাই কাজলি দেব শ্বশুর বাড়িতে ফাঁসিতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের। গভীর রাতে কাজলি দেবের স্বামী বিশ্ব দাস ও দেবর অশোক দাস মিলে বাইকে করে কাজলি দাসকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানিয়ে দেন হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই কাজলি দেবের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর কাজলি দেবের মা ধর্মনগর মহিলা থানায় কাজলি দেবের স্বামী, দেবর শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন বৃহস্পতিবার রাতে কাজলি দেবের সাথে তাদের দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হয়েছে। কাজলি দেব ফোনে তার মাকে জানায় স্বামীর বাড়ির সকলে মিলে তার উপড় নির্যাতন শুরু করেছে। এমনকি তারা তাকে প্রানে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে।

 সেই দিন রাতেই তাদের মেয়েকে হত্যা করে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বামী ও তার দেবর। থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত কাজলি দেবের দেবর অশোক দাসকে গ্রেপ্তার করে। অশোক দাসের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ধর্মনগর মহিলা থানায় ছুটে গেলে তেলে বেগুনে জলে উঠেন অশোক দাস। কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা। অশোক দাস রীতিমতো সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার পাঠ দিতে থাকেন। শুনে নিন অশোক দাসের বক্তব্য। প্রশ্ন হচ্ছে কোনটা উল্টা পাল্টা সংবাদ আর কোনটা অসম্পূর্ণ সংবাদ তা সংবাদ মাধ্যম ভালো করেই জানে। এই বিষয়ে আশা করি একজন খুনের অভিযোগে অভিযুক্তর কাছ থেকে সাংবাদিকদের জানতে হবে না। সে যাই হোক। এইদিকে ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করার সাথে সাথে মৃত কাজলি দেবের স্বামী বিশ্ব দেব সহ শ্বশুর শাশুড়ি গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ তাদেরকেও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন দেখার পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের সহসাই গ্রেপ্তার করতে পারে কিনা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!