স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি : ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে সোমবার আত্মসমর্পণ করল এন এল এফ টি -র পাঁচ জঙ্গি। তারা সকলে পরিমল দেববর্মা গোষ্ঠীর সদস্য। তারা আগাম খবরের ভিত্তিতে এদিন ডি.আই.জি ইন্টেলিজেন্স কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা অস্ত্রশস্ত্র সহ বাংলাদেশি টাকা পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের নাম নেতাজয় রিয়াং, বাড়ি আনন্দবাজার থানাধীন বাগিচন্দ্র পাড়া, মহেন্দ্র রিয়াং, বাড়ি খেদাছড়া থানাধীন মুনাছড়া, সুকুমার রিয়াং, বাড়ি আনন্দ বাজার থানাধীন কাশিথাই পাড়া, কিরঞ্জিত রিয়াং, বাড়ি আনন্দ বাজার থানা এলাকায়, বিষ্ণুরাম রিয়াং, বাড়ি আনন্দ বাজার থানাধীন মানিক রায় পাড়া। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা আগরতলা স্থিত রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করে। তারা পুলিশের কাছে জমা দেয় ২২ চাইনিজ ১ টি, ২২ চাইনিজ রাইফেল দুটি, ২২ লাইভ রাউন্ড ১৭ টি, ৭০ এম এম শর্ট গান সেল ১০ টি, চার্জিংপোর্ট একটি, বাংলাদেশী ৭৭০ টাকা নগদ, বাংলাদেশি মোবাইল সিম কার্ড দুটি।
এছাড়াও তারা এল এল এফ টি -র চাঁদার রশিদ জমা দিয়েছে পুলিশের কাছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২৬ জন এন.এল.এফ.টি -র সক্রিয় জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। তারা সকলে পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জন। উল্লেখ্য, বিগত বছর থেকে এন.এল.এফ.টি -র উপদ্রব রাজ্যে বেড়ে চলেছিল। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রুখতে পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন সজাগ দৃষ্টি ছিল না বলেই চলে। যার কারণে রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছিল এন এল এফ টি -র চাঁদার জুলুম বাজি। কিন্তু পুলিশের দক্ষতার অভাবে মানুষ নিরাপত্তায় ভুগছে। কিন্তু এর মধ্যে পাঁচজন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করা রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সুখবর। এদিকে যতদূর খবর এন এল এফ টি জঙ্গিরা রাজ্যে এসে আত্মসমর্পণ করার পেছনে মূলত কারণ হলো তাদের সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে এবং আর্থিক সংকটে রয়েছে তারা। যার কারণে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপনের মূল স্রোতে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।