স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ ডিসেম্বর : বাংলা তো বটেই গোটা দেশে আজও রবি ঠাকুর দারুণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। এমনকি পড়শি দেশ বাংলাদেশেও। তবে কেবল এখানে নয়, সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে ব্রাজিলের একটি শহরেও আজও সমান ভাবে বিশ্বকবিকে মনে রাখা হয়েছে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে একটি স্কুলে বৈপরীত্যের মধ্যে একতার পাঠ শেখানো হয়। বাদ যায় না রবি ঠাকুরের ভাবনা।
ব্রাজিলের কোপাকাবানা বিচ থেকে মাত্র আধ ঘণ্টা দূরেই অবস্থিত মিউনিসিপ্যাল স্কুল টেগোর। এই স্কুলটি আজ নয়, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৬৩ সালে। সেই থেকে এখানে রবি ঠাকুরের ভাবনা অনুসারে ছাত্রদের পড়ানো হয়। কিন্তু ভাবছেন এতদুরের একটি জায়গায় আজও কেন রবি ঠাকুরকে নিয়ে এত মাতামাতি? তার একটি বিশেষ কারণ আছে যার ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন আপনিও।
১৯২৪ সালে পেরুর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। মে মাসে তাঁর কাছে এই আমন্ত্রণ আসে, তিনি সেপ্টেম্বর মাসে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু ফ্রান্স থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরবার পথে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কিছুদিনের মাথায় সেই জাহাজ আর্জেন্টিনায় নোঙর করে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যাতে তিনি পেরুতে না যান।
সেখানে তাঁর আর যাওয়া হয়নি ঠিকই তবে মাঝে পথে তিনি একবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে থামেন। আর তাঁর পরিচিতি তখন সেখানে সকলেই জানত। এরপর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সেখানে একটি তাঁর নামাঙ্কিত স্কুল শুরু করা হয় পরবর্তীতে। যা আজও সচল। এখানে আজও রবি ঠাকুরের ভাবনায় ছাত্রদের পড়ানো হয়। শিক্ষা দেওয়া হয়।