স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ ডিসেম্বর: গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস নগরী অভিমুখে স্থল অভিযানে এগিয়ে চলেছে ইসরায়েল। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তারা খান ইউনিসের উপকণ্ঠে ইসরায়েলের ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান দেখতে পেয়েছেন।ওদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলে সোমবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। দুটো স্কুলভবনে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা।বিমান থেকে বৃষ্টির মতো বোমা হামলা হয়েছে দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকাতেও। ফলে গোটা গাজাতেই এখন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেছেন, রোববার রাতভর ভারি বোমা হামলার পর সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।দক্ষিণ গাজার আরও ভেতরের দিকে এগিয়ে চলেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) । ফিলিস্তিনের পুরো এলাকায় হামাস কেন্দ্রগুলোর ওপর হামলা চালাতে তারা স্থলঅভিযানের আওতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে।
স্যোশাল মিডিয়ায় এবং লিফলেট ছড়িয়ে দক্ষিণের এলাকাগুলো থেকেও এখন লোকজনকে সরে যেতে বলছে ইসরায়েল। খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বের একটি এলাকা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। কাছেই গাজার উত্তর-দক্ষিণের একটি মূল সড়ক থেকেও লোকজনকে সরতে বলা হচ্ছে।গাজার কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই- স্থানীয় অধিবাসী এবং ত্রাণসংস্থাগুলোর এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক উপদেষ্টা। তার মতে, গাজায় ‘নির্ধারিত কিছু নিরাপদ জায়গা’ আছে এবং হামলার লক্ষ্য সাধারণ জনগণ নয়।কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় রোববার থেকে ৩৪৯ জন মারা গেছে বলে হিসাব দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার শুরু থেকে মানুষ নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৯৯ জনে।
সোমবার সকালের দিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদেরকে গাজার মূল দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসের কয়েকটি এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে। কিন্তু অধিবাসীরা বলছে, তাদেরকে যে এলাকায় সরে যেতে বলা হয়েছে সেখানেও গোলা পড়ছে।মরিয়া গাজাবাসীরা তলপি-তলপা নিয়ে রাফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বেশির ভাগই পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনডব্লিউআরএ এর প্রধান বলেছেন, রাফায় অবস্থান করা ফিলিস্তিনিরাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে বলেন, মানুষজন কোথায় গেলে নিরাপদে থাকতে পারবে সে ব্যাপারে পরামর্শের জন্য মিনতি করছে। কিন্তু আমার তাদেরকে কিছুই বলার নেই।”