স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ আগস্ট : একদিকে নেশার রমরমায় কলঙ্কিত রাজ্য, অপরদিকে নারী নির্যাতনের ঘটনায় কলঙ্কিত হয়েছে ত্রিপুরা। এবার সরাসরি পুরুষ পুলিশ দ্বারা নারী নির্যাতনের দৃশ্য লক্ষ্য করল স্মার্ট সিটিবাসী। মহিলাকে ধরে টানা হেঁচড়া এবং পোশাক ধরে টানাটানি করার ঘটনা উঠে এসেছে শনিবার। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ন বাড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পূর্ত দপ্তরে কর্মরত গীতা দেবনাথ।
আর এই গীতা রানি দেবনাথের বাড়িতে বেশ কিছু দিন ধরে চলছে নেশার বাণিজ্য সহ অসামাজিক কার্যকলাপ। মূলত গীতা দেবনাথের বাড়িতে কলেজ পড়ুয়া যুবক যুবতিদের আনাগোনা ছিল বেশি। গীতা দেবনাথের বাড়িতে বসে নিরাপদে কলেজ পড়ুয়া যুবক যুবতীরা গাঁজা, ব্রাউন সুগার ইত্যাদি সেবন করে। প্রতিবেশীরা দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি নজরে রাখে। শনিবার দুপুরে গীতা দেবনাথের বাড়িতে তিন যুবক প্রবেস করলে প্রতিবেশীরা স্থানিয় যুবকদের জানায়। স্থানিয় যুবকরা গীতা দেবনাথের বাড়িতে যাওয়ার পর ঘড়ের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে ঘড়ের দরজা খোলা হয়। ঘড়ের দরজা খোলার পর দেখা যায় ঘড়ের অভ্যন্তরে তিন কলেজ পড়ুয়া যুবক সহ এক যুবতী।
সাথে সাথে তাদের আটক করা হয়। ধৃত যুবতী রীতিমতো পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে যায়। এইদিকে পুলিশ গীতা দেবনাথের ঘরে তল্লাসি চালিয়ে উদ্ধার করে বেশকিছু ব্রাউন সুগারের কৌটা সহ নেশা সামগ্রী সেবনের সরঞ্জাম। স্থানিয় এক যুবক গোটা ঘটনার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করে। পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ ধৃত তিন যুবক সহ যুবতীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু মহিলার উপর যেভাবে বাহুবল দেখিয়েছে পুলিশ, তা কোনভাবেই সভ্য সমাজ মেনে নেবে না। মহিলা যেহেতু অভিযুক্ত তাকে থানায় নিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক এবং তার শাস্তি হওয়াটা অবশ্যম্ভীক। এর জন্য মহিলা পুলিশ রয়েছে। কিন্তু পুরুষ পুলিশ দ্বারা মহিলার উপর এভাবে হাত লাগানো দেশের সংবিধান দেয় নি। অভিযুক্ত দুই ব্রিটিশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ। এদিকে গীতা দেবনাথের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া নেশা সামগ্রীও থানায় নিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে একজন সরকারি কর্মচারী কিসের লোভে নিজের বাড়িতে নেশার আসর বসাচ্ছেন? এই ভাবে সরকারি কর্মচারী যদি নিজ বাড়িতে নেশার আসর বসায় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।