স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ আগস্ট : নবজাতক শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত টিকাকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাই দেশের সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এই বছরও আগস্ট মাস থেকে দেশব্যাপী ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্র ধানুশ ৫.০ টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হতে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরস্থিত ঊনকোটি কলা ক্ষেত্রে ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্র ধানুশ কর্মসূচির রাজ্যভিত্তিক সূচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
দেশের সার্বজনীন টীকাকরণ কর্মসূচিকে ডিজিটাইজড করার মাধ্যমে সমস্ত অংশের শিশু ও গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের এই প্রয়াস। ঘরে বসেই U-WIN পোর্টালেনিজের ফোন নাম্বার রেজিস্ট্রেশন করে নিজের পছন্দের এলাকার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ নিশ্চিত করা যাবে। এই বছর মোট তিন ধাপে ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্র ধানুশ ৫.০ কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রথম রাউন্ড হবে ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট। দ্বিতীয় রাউন্ড হবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর। তৃতীয় রাউন্ড হবে ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সমস্ত জেলায় শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত যেসব শিশুরা নিয়মিত টিকাকরণের আওতায় টিকা নেয় নি এবং গর্ভবতী মহিলা যারা নিয়মিত টিকা নেয়নি, তাদের টিকা দেওয়া হবে। রাজ্য থেকে হাম-রুবেলা নির্মূলিকরণের উদ্দেশ্যে মিশন ইন্দ্র ধনুষ ৫.০ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজযন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য অধিকর্তা শুভাশিস দাস। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান নিয়মিত টিকাকরণ থেকে যেসব শিশু বাদ পড়েছে তাদের মাথাপিছু গণনার কাজ চলছে। গণনার পর টিকা নেওয়া থেকে বাদ পড়া শিশুদের তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা অনুসারে পরিবারগুলোর মধ্যে টিকার গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে এবং প্রতিটি শিশুর টিকাকরণ নিশ্চিত করা হবে। ইউ-উইন পোর্টালে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের নাম এবং যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। ইন্টেন্সিফায়েড মিশন ইন্দ্রধানুষ ৫.০ এর লক্ষমাত্রা স্থির করা হয়েছে সমগ্র রাজ্যের ১,২৪৯ টি সেশন সাইটে ১,৮৯৭ জন গর্ভবতী মহিলা ও ১০,২৬০ জন শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে। এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইমিনাইজেশান অফিসার ডাক্তার মৌসুমি সরকার, এস.বি.সি কনসাল্টেন্ট ইউনিসেফ ডাক্তার গৌরব ভার্মা।