স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুলাই : আগে জনজাতিদের গ্রেটার তিপরাল্যান্ড দাবি পূরণ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের। নাহলে সরকারে বসবে না তিপ্রা মথা। সোমবার দিল্লি থেকে ফিরে এ কথা বললেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি জানান দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে গ্রেটার তিপরাল্যান্ড প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে সৌজন্যতামূলক আলোচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছে যদি গ্রেটার তিপরাল্যান্ড দাবি পূরণ না করা হয় তাহলে সরকারে বসবে না তিপ্রা মথা।
কারণ জনজাতি অংশের মানুষ দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়ে আছে। ২০১৮ সালে জনজাতি অংশের মানুষের কথা না ভেবে আই.পি.এফ.টি বি.জে.পি-র সঙ্গে জোট হয়ে সরকারে বসেছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তাদের মূল এজেন্ডা অর্থাৎ মূল দাবি পূরণ হয়নি। তাই এই ভুল আর তিপ্রা মথা করতে চায় না। জনজাতি অংশের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়ার পরই আলোচনা হবে সরকারে বসবে কিনা। নাহলে বিকল্প পথ খোলা রয়েছে মথার কাছে। তাই আগের জনজাতিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করতে হবে তারপরে সরকার নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেছে কতটা নড়বড়ে হয়ে আছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে যে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে সেটা আবারও ইঙ্গিত বহন করল এদিন।
কারণ রাজ্যের দুটি আসন জয়ী হতে সরকারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। সুতরাং বিধানসভার নির্বাচনের আগে যেভাবে এক প্রকার নাটক মঞ্চ তৈরি হয়েছিল তা আবারও দেখা যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের নয় – দশ মাস আগেই। শাসকদলের কাছে মূলত ভয় যদি বিধানসভা নির্বাচনের মত লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বহুমুখী রাজনৈতিক দলের ভোট ভাগাভাগি হয় তাহলে দুটি আসন নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই থর হরি কম্পনে কাপছে বিজেপি। দিল্লি নিয়ে একের পর এক ললিপপ। এবং মন্ত্রিত্ব পদ দেখিয়ে মথাকে হাতে রাখতে চাইছে বিচক্ষণ শাসক দলের হাই কমান্ড বলে সূত্রের খবর। প্রদ্যোতের সঙ্গে ছিলেন দলের সভাপতি বিজয় রাঙ্খল, বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা।