নয়াদিল্লি, ২৮ মে (হি. স.) ভারতের ইতিহাসে রচিত হল এক নতুন অধ্যায় । ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল দেশ। বিশেষ পুজোপাঠের মাধ্যমে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে পাশে নিয়ে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে। ভবনটি চারতলা।
রবিবার একেবারে নির্ধারিত সময়ে নয়া সংসদ ভবনে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপর দুজনেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান। আর সেখানেই বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। যদিও পুজোতে বসার আগে গান্ধী মুর্তিতে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর স্পিকার ওম বিড়লাকে পাশে নিয়েই পুজোতে বসেন।
সেখানে দীর্ঘ পুজো শেষে ঐতিহাসিক ‘সেঙ্গল’ প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিভিন্ন মঠ থেকে অনুষ্ঠানে আসা স্বামীজিরা ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন। যদিও তা হাতে নেওয়ার আগে একেবারে মাটিতে শুয়ে পড়ে রাজদণ্ডকে প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেটিকে হাতে তুলে নেন তিনি। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এরপর নয়া সংসদ ভবনের দিকে ‘সেঙ্গল’ নিয়ে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর চারপাশে ছিলেন সাধু বেষ্টিত। সংসদ ভবনে সেই সময় বাজছে বন্দেমাতারমের ধুন। একেবারে ঐতিহাসিক মুহূর্ত! সবার আশির্বাদ নিয়েই একেবারে স্পিকারের আসনের পাশেই ‘সেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠা করলেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই সময় উচ্চরিত হচ্ছে বৈদিক মন্ত্র।
স্পিকারের আসনের পাশে ‘সেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠ করে ফের একবার সবার আশির্বাদ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু বৈদিক উচ্চারণেই নয়, নয়া সংসদ ভবনে সর্বধর্মের মিল দেখল দেশের বাসী। সমস্ত ধর্মের মানুষের তরফে বিশেষ প্রার্থনার আওজন করা হয়। আর তাতে সামিল হন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে নয়া সংসদ ভবনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করেছেন একাধিক শ্রমিক। এদিন তাদের বিশেষ সম্মান প্রধানমন্ত্রী। বলে রাখা প্রয়োজন, শনিবারই ‘সেঙ্গল’ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

