স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মে : গুন্ডাবাহিনীর তকমা লাগাল পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ। যারা মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন তারাই মহিলা নির্যাতনের মত ঘৃণ্য কাজ থানার অন্দরে কিভাবে করতে হয় সেটা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে শুক্রবার। গত মঙ্গলবার পুলিশ কর্মী শিল্পী দে -র কবিরাজ টিলা স্থিত সরকারি আবাসনে চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়। তাই এই মহিলা পুলিশ কর্মী বাড়ির গৃহ পরিচারিকাকে টার্গেট করে থানায় ফোন করে আনে। সে গৃহ পরিচারিকা প্রিয়াঙ্কা সাহাকে বেধড়ক পিটিয়ে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। খাকি উদ্দি পড়া দাপুটে এবং নারী নির্যাতনকারী পুলিশকর্মীরা সকলেই পশ্চিম মহিলা থানায় কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে এই গৃহ পরিচারিকা গুরুতর আহত হয়ে আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ গত মঙ্গলবার পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ শিল্পী দে -র সরকারি আবাসনে চুরি ঘটনা সংগঠিত হয়। চোর ধরতে না পেরে তিনি শেষ পর্যন্ত ঘরের গৃহ পরিচারিকাকে শুক্রবার দুপুরে আড়াইটা নাগাদ ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থানায় সুস্মিতা নামে অপর এক পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পী দে বেধড়ক মারধর করে প্রিয়াঙ্কাকে। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা দুই মহিলা পুলিশ কর্মী পা ধরে প্রান ভিক্ষা চান। কিন্তু তারপরেও তাকে মারধর করে বলে তাকে স্বীকার করতে হবে সেই চুরি করেছে। এবং তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। এবং হুমকি দিয়ে বলে থানা থেকে বের হয়ে বাড়ির লোকজনদের যাতে মারধরের ঘটনার সম্পর্কে না জানান। তাহলে আবারো থানায় এনে এভাবে মারধর করবে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে আরো বেশি মারধর করে একটি কক্ষে নিয়ে ফেলে রাখা হয়। তারপর বাড়ির লোকজনেরা থানায় এসে প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রিয়াঙ্কা। বিছানায় কাতরাতে কাতরাতে মুখ্যমন্ত্রী কাছে সহযোগিতা চাইছে।
তার দাবি এই ঘটনার যাতে সুষ্ঠু বিচার করেন মুখ্যমন্ত্রী।তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এ বিষয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি অবগত রয়েছেন পুলিশের সদর কার্যালয়ে আধিকারিকেরা। কিন্তু শীততাপ কক্ষ থেকে বসে পশ্চিম থানার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না তারা। রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশের মান ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত করছেন এই থানার কতিপয় পুলিশ কর্মী। কারণ এই পশ্চিম থানার পুলিশ গৃহ পরিচারিকা প্রিয়াঙ্কা সাথে এই ঘটনা করার ৪৮ ঘণ্টা আগেও ট্রাফিক অভিযান নাম করে স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই কিল ঘুসি দিয়ে বাবাকে পেটায় এক দাপুটে পুলিশ। থানার অন্দরে এবং বাইরে এ ধরনের চরম বর্বরতার জন্য জন্য দায়ী কে ?