স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মে : কমিউনিস্ট পার্টিতে এখন আর যুব অংশের নেতৃত্ব নেই। বয়স্করাই যুব বলে নিজেদের প্রচার করেন। সমাজবাদের তথ্য দিতে দিতে তারা এখন সমাজের শত্রু হয়ে গেছেন। সমস্ত যুবক এখন বিজেপি-র পাশে এসে মিলিত হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা থেকেই যুবরা বিজেপিতে সামিল হচ্ছে।
রবিবার রবীন্দ্রভবনে ভারতীয় যুব মোর্চার সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে বলেন, মানসিকতা ধনাত্মক রাখতে হবে। অব্যাহত রাখতে হবে দলীয় শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব। সরকার স্বচ্ছতাঁর সঙ্গে কাজ করছে। এই ব্যাটেন আগামীর হাতে তুলে দিয়ে যেতে চায় সরকার। রবিবার রবীন্দ্রভবনে ভারতীয় যুব মোর্চার সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
এখন যুবকরা ভবিষ্যৎ দেখেন তাঁর মাধ্যমে। যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান সর্বদা সরকারকে দেখে রাখার জন্য। যুব শক্তি আছে বলে সরকার সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে সাহস পায়। রাজ্যের ভবিষ্যৎ আগামী দিনে উজ্জ্বল। বেশ কিছু নতুন নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে। রাবার , বাঁশ শিল্পে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। আন্দোলন হোক প্রকল্প গুলির সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সহায়তা করার। সরকারী চাকুরির জন্য অপেক্ষা করলে হবে না। সরকার তার নিয়ম মেনে চাকুরী দিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ঋনাত্মক কথা না বলে ধনাত্মক কথা বলা উচিৎ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচিত সদস্যরা একেক জন একেক নীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু কথা বলতে হবে জনগণের স্বার্থে। এর বাইরেও জগত আছে। সকলে মিলে এক সঙ্গে থাকলে ভাতৃত্ব বোধ জাগে। বিরোধী ও সরকার পক্ষের লোক কেন পৃথক পৃথক স্থানে থাকবে। এই মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এই দল সরকারের সাথে ইচ্ছা কৃত ভাবে দূরত্ব বজায় রাখে। এই মানসিকতা মানুষ মেনে নেয়না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সারা রাজ্যের যুব কার্যকর্তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া, উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পাল।