Friday, October 18, 2024
বাড়িখেলাআন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ফিঞ্চ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ফিঞ্চ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৭ ফেব্রুয়ারি: মেলবোর্ন রেনিগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ ও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় অবশ্য খেলে যাবেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ঘরের মাঠে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফিঞ্চের এই অবসর অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আরও প্রায় দেড় বছর পর। ফিঞ্চ তবু বলেছিলেন, বিগ ব্যাশের সময় তিনি নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে ভাববেন। বিগ ব্যাশে এবার শুরুটা ভালো না করলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৮.৯০ গড়ে ৪২৮ রান করেন তিনি, আসরের যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। তবে এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ভালো করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাস্তবতা অনুধাবন করেই অবসরের সিদ্ধান্ত, বললেন ফিঞ্চ। “২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খেলে যাব না বোঝার পর মনে হলো সরে দাঁড়ানোর জন্য এবং ওই আসরের জন্য পরিকল্পনা করা ও দল গড়ে তোলার সঠিক সময় এখনই।” “আমার পরিবার, বিশেষ করে স্ত্রী অ্যামি, আমার সব সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যেতে সহায়তা করায়। সব ভক্ত-সমর্থককের প্রতিও বিশাল কৃতজ্ঞতা, যারা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পুরোটায় আমার পাশে থেকেছেন।” 

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশ ম্যাচ খেলা একমাত্র ক্রিকেটার ফিঞ্চ (১০৩)। তিন হাজার রান করা (১৪২.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ৩ হাজার ১২০) একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনিই। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা তার ১৭২ রানে ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। সেখানে তিনি ভেঙেছিলেন নিজেরই ১৫৬ রানের রেকর্ড। ৭৬ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, আর কেউ অধিনায়ক ছিলেন না ৩০ ম্যাচেও। তবে এসব ব্যক্তিগত অর্জন ছাপিয়ে নিশ্চিতভাবেই ফিঞ্চের ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া। এই সংস্করণে বিশ্ব শিরোপার খরা ঘুচে যায় তাদের ওই আসরেই। ঘরের মাঠে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। ফিঞ্চের বিদায়ী বিবৃতিতেও ফুটে উঠল সেই তৃপ্তি। “দলীয় সাফল্যের জন্যই আমরা খেলাটা খেলি এবং ২০২১ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় ও ২০১৫ সালে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মুহূর্ত দুটি আমি সবচেয়ে বেশি লালন করব। ১২ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা এবং সর্বকালের সেরা কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে ও বিপক্ষে খেলতে পারাও ছিল আমার জন্য অবিশ্বাস্য সম্মানের।” ফিঞ্চর বিদায়ের পর এখন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক খুঁজতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে আপাতত তাড়া নেই তাদের। পরের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলবে তারা আগামী অগাস্টে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য