স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৪জানুয়ারি
ব্রিটিশ ও ইরানের দ্বৈত নাগরিক আলীরেজা আকবরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তেহরান। ইরানের সাবেক এই উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি আজ শনিবার জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান। ব্রিটেনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।গতকাল শুক্রবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, ইরান কোনোভাবেই যেন আকবরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করে। তাঁর মৃত্যুদণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আসছে ব্রিটেন। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তির আহ্বানও জানিয়েছিল দেশটি।যুক্তরাষ্ট্রও আলীরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে এবং তাঁর মুক্তি দাবি করেছিল বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এক টুইটে মিজান বলেছে, আলীরেজা আকবরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দুর্নীতি ও ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে আলীরেজা ১৮ লাখ ৫ হাজার ইউরো, ২ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড এবং ৫০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল।গত বুধবার বিবিসি ফারসির প্রচার করা এক অডিওতে আলীরেজা বলেন, যেসব অপরাধ করেননি, মারাত্মক নির্যাতনের মুখে সেগুলোও তিনি স্বীকার করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে বলা হয়, ২০২০ সালে ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহর গুপ্তহত্যার ঘটনায় আলীরেজার ভূমিকা ছিল। তেহরানের বাইরে এক হামলায় তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই সময় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল।ভিডিওতে ওই গুপ্তহত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন আলীরেজা। তবে তিনি বলেন, একজন ব্রিটিশ গোয়েন্দা ফখরিজাদেহ সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন।ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রায়ই রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত মামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কথিত স্বীকারোক্তি প্রচার করে থাকে। তবে এসব অডিও-ভিডিওর সত্যতা এবং সেগুলো কখন, কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।সংস্কারবাদী নেতা মোহাম্মদ খাতামি ইরানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আলীরেজা দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন খাতামি।