স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ আগস্ট : অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দিদিমণি মর্জি মাফিক মাসে এক – দুই দিন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে আসেন। মাসের পর মাস শিশুদের খিচুড়ি, ডিম, বিস্কুট, কলা ইত্যাদি থেকেও বঞ্চিত হয়ে আছে। পাশাপাশি অংগনওয়াড়ি সেন্টারের শিশুদের পড়াশোনা থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৈলাসহরের সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের কড়ইথলি গ্রামের অংগনওয়াড়ী সেন্টারের দিদিমনির বিরুদ্ধে। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দিদিমণির এহেন কার্যকলাপে গ্রামের মহিলারা ক্ষুব্ধ হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মঙ্গলবার তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
অভিযোগ ২২ দিন ধরে অংগনওয়াড়ী সেন্টার বন্ধ থাকলেও সেন্টারের দিদিমণির পাশাপাশি দপ্তরেরও কোনো ধরনের হেলদোল নেই। বিগত প্রায় দুই বছর কোভিড মহামারির জন্য স্কুল বন্ধ থাকার পর থেকেই স্কুলের দিদিমণি শিল্পী শুক্ল বৈদ্য রেগুলার স্কুলে আসেন না বলেই গ্রামের মহিলারা জানান। গোটা গ্রাম স্কুলের দিদিমণি শিল্পী শুক্ল বৈদ্যের উপর দীর্ঘদিন ধরেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রায়েছেন স্থানীয়রা। কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে অবস্থিত সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত। এই সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের কড়ইথলী এলাকায় বাগান শ্রমিকের বসবাস রয়েছে। গ্রামের মহিলারা আরো জানান, শুধু তাই নয়, এলাকার গর্ভবতী মহিলাদেরও প্রোটিন যুক্ত খাবার সরবরাহ করছে না দিদিমণি। গ্রামের মহিলারা কয়েকবার দিদিমণি শিল্পী শুক্ল বৈদ্যকে স্কুলে নিয়মিত না আসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে দিদিমণি উত্তেজিত হয়ে গ্রামের মহিলাদের জানিয়ে দেন যে, তিনি মর্জিমাফিক স্কুলে আসবেন এবং যাবেন। কারোর কোনো অসুবিধা হলে দপ্তরের কাছে জানাতে পারেন বলেও দিদিমণি জানান। গ্রামের মহিলারা আরও জানান যে, দপ্তরের পক্ষ থেকে সুপারভাইজার কিংবা সি ডি পি ও কেউই স্কুল পরিদর্শনে যান না। যার জন্য এই ধরনের বেহাল অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে।তবে এই বিষয়ে সি ডি পি ও কোনো ধরনের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি এবং তিনি এব্যাপারে তদন্ত করবেন বলেও জানান।