স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ আগস্ট : আজাদিকা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশ প্রেম, জাতীয়তাবোধ, রষ্ট্রবাদী ভাবনা ও চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এবং জাগ্রত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিয়েছে। তা বাস্তবায়িত করা হবে রাজ্যে। দেশভক্তির ভাবনাকে সুদৃড় করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচী সম্পর্কে বলতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা দেশবাসীর জন্য গর্বের, দেশাত্মবোধের পরিচায়ক এবং রাষ্ট্রীয় চেতনার অনুভূতি।
রাজ্যে ৮.৫ লক্ষ বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৪.৫ লক্ষ বাড়িকে আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ বিভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা আনা হয়েছে। সরকারী ও আরবান বডীর মাধ্যমে এই জাতীয় পতাকা প্রদান করা হবে। নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পতাকা গুলি কিনতে পারবেন নাগরিকেরা। ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে এই কর্মসূচী পালন করা হবে। সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলি ব্যতিত অন্যস্থানে জাতীয় পতাকা ২৪ ঘণ্টা ওয়ানতে কোন আইনি সমস্যা নেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে দপ্তর ও জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকৃত অর্থে জাতীয়তা বোধ মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। হর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে অন্যান্য অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। শহর ও শহরতলির বেশ কিছু স্থানে বসানো হবে সেলফি বুথ। এই বুথে ছবি তুলে নির্ধারিত স্থানে পোস্ট করতে পারেন। উৎসবের মেজাজে এই অভিযান যাতে সফল হয় তাঁর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজাদিকা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে যে সমস্ত কর্মসূচী সফল ভাবে সম্পাদন করা হয়েছে তাতে দেশের প্রথম দশ রাজ্যের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ত্রিপুরা। সপ্তম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত কার্যসম্পাদন করা হয়েছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ৮০০ টি জলাশয়কে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্যোগ যাতে সফল হয় তাঁর জন্য রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।