Saturday, May 17, 2025
বাড়িরাজ্য কংগ্রেস করায় আক্রমণের শিকার মহিলা

 কংগ্রেস করায় আক্রমণের শিকার মহিলা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুলাই : কংগ্রেস দলের সমর্থক হওয়ায় মহিলাকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি’র কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনা আমতলী থানাধীন শচীন্দ্রলাল চারিপাড়া এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা যায়, কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী সুলেখা খাতুন কংগ্রেসের বৈঠকে  যাওয়া এলাকায় বিজেপি কর্মীরা নজর বন্দী করে।

এদিকে সম্প্রতি এলাকায় কংগ্রেসের দলীয় অফিস ভাঙে এলাকার দুর্বৃত্তরা। আর সেই দলীয় অফিস ভাঙার কাজে সরাসরি জড়িত ছিল বিজেপির কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা ভাবছে তাদের কীর্তি কান্ড মোবাইল বন্দী করে রেখেছে সুলেখা খাতুন। শনিবার দুপুর তিনটা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা সুলেখা খাতুনকে বাড়িতে এসে মারধরের চেষ্টা করে, কিন্তু বাড়ির ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন সুলেখা খাতুন। কিন্তু এলাকার বিজেপি দুর্বৃত্তরা সুলেখা খাতুনকে সেদিন মারধর করতে না পেরে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। রবিবার সকালে পুনরায় বাড়িতে এসে হাজির হয় এলাকায় বিজেপি দুর্বৃত্ত কাসেম মিয়া, সেলিম মিয়া, মুসলিম মিয়া, পিন্টু মিয়া, কালা মিয়া এবং ইমরান মিয়া।

এই মাফিয়া গ্যাং -এ জড়িত ছিলেন সুলেখা খাতুনের পিতাও। মোবাইল থেকে ভিডিও মুছে ফেলার জন্য দীর্ঘক্ষণ সুলেখা খাতুন এবং সুলেখা খাতুনের মার সাথে বাক-বিতণ্ডা করে বিজেপি দুর্বৃত্তরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুলেখা খাতুন এবং তার মাকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বাড়ির উঠোনে ফেলে কিল, ঘুষি, লাথি সহ বেধড়ক মারধর করে বলে বিজেপির দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুলেখা খাতুনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমতলী থানার পুলিশ। আমতলী থানার পুলিশ সুলেখা খাতুনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসতে চাইলে সেখানেও লাঠি সাটা নিয়ে পথ আটকায় বিজেপি দুর্বৃত্তরা। এবং সবটাই পুলিশের সামনে সংঘটিত হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ সুলেখা খাতুনের মার। পুলিশ সুলেখা খাতুনকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে আসে আইজিএম হাসপাতালে। এদিকে ঘটনায় খবর শুনে আইজিএম হাসপাতালে ছুটে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং। সুলেখা খাতুনের মা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান এলাকায় চলছে বিজেপির মাফিয়া গ্যাং এর রাজত্ব। পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। মহিলাদের উপর এভাবে আক্রমণ প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। কংগ্রেস করার সুবাদ একজন মহিলাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস।

সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং -এর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন ত্রিপুরা পুলিশ কি হাতে চুড়ি পরে বসে আছে? এ ধরনের ঘটনার কোন বিচার নেই কেন? এলাকার বিধায়িকা মিমি মজুমদারের নির্দেশে এলাকায় এ ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে। মহিলাদের সম্মান লুট করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলে জানান তিনি। এদিনের ঘটনায় আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আত্মীয়দের বিষয় হলো রাজ্যের মন্ত্রীরা বলেন বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যে ব্যাংকের নারী নির্যাতনের ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। নারীরা সমাজে সর্বোচ্চ স্থান এবং সম্মান পাচ্ছে। কিন্তু রবিবার আবারো আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারাই আক্রমণের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মহিলারা। যাই হোক আই জি এম হাসপাতাল থেকে এই দিন সুলেখা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে রেফার করে জিবি হাসপাতালে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুলেখা খাতুন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!