স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জুলাই : আবারো রেকর্ড সংক্রমণ রাজ্যে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনার উদ্বেগ। গত তিনদিন ধরে সংক্রমণ দুই শতাধিকের ঘরে রয়েছে। এমনকি সংক্রমণ কমার নাম নেই। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নতুন করে ২৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬০ জনের শরীরের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত ১৩৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় সংক্রমিত ২৬ জন, খোয়াই জেলায় সংক্রমিত ১০জন, গোমতী জেলায় সংক্রমিত ২৬ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত ৩৩ জন, ধোলাই জেলায় সংক্রমিত ৯ জন, ঊনকোটি জেলায় সংক্রমিত ৫ জন, উত্তর জেলায় সংক্রমিত ১২ জন, বর্তমানে সংক্রমনের হার ১০.৯২ শতাংশ। কিন্তু সুস্থতার হার অন্যান্য দিনের মতোই অনেকটাই কম।
২৪ ঘন্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছে মাত্র ৩৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.০৮ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,০৩০ জন। বিশেষ করে চিন্তায় ফেলছে পশ্চিম জেলা। যে বুলেট গতিতে পশ্চিম জেলায় সংক্রমণ বিস্তার করছে তাতে চিন্তিত সচেতন মহল। কারণ পশ্চিম জেলা মানুষের মধ্যে এখনো সচেতনতা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, অফিস, হাসপাতাল, গনপরিবহণ সর্বত্র মানুষের মধ্যে অসচেতনতা ছায়া। মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক এবং দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর নির্দেশিকা প্রশাসনিকভাবে জারি হয়েছে গত পাঁচ দিন আগে। কিন্তু মানুষের মধ্যে অসচেতনতা চরমে উঠেছে। কেউ কেউ ভাবছে কোভিড টিকাকরণ সেরে নেওয়ায় সংক্রমণ হবে না। কিন্তু যারা সংক্রমিত হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই টিকা গ্রহণ করার পরেও সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কিন্তু পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাই চতুর্থ ঢেউ বলে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের। আগামী দুতিন দিন পর নেওয়া হতে পারে কঠোর পদক্ষেপ। কারণ এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে গণসংক্রমণের রূপ ধারণ করবে বলে অভিমত সচেতনমহলের।