স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ জুলাই :ঢাক ঢোল বাজিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ বাস্তবের সাথে বক্তব্যের অমিল সুশাসন জামানার শিক্ষা ব্যবস্থার। অভিযোগ, খেদারনাল উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দৌলতে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন লাটে উঠেছে। বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন লাটে তুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল দেখেই সময় কাটিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। অমরপুর ব্লকের অন্তর্গত খেদারনাল উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায় দিনই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে বিদ্যালয়ে পৌঁছান। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিধভূষণ সাহা শাসকদলের রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদে নিজের খেয়ালখুশি মতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন বলে অভিযোগ।
অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সংবাদ প্রতিনিধি সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপস্থিত। বাদ বাকি তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা অফিস রুমে বসে মোবাইল দেখা নিয়ে ব্যস্ত। সাংবাদিকদের দেখতে পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তড়িঘড়ি মোবাইল রেখে অ্যাটেন্ডেন্স খাতা নিয়ে ক্লাস রুমে ছুটে যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিন্দ্র জমাতিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্র সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় খুলতে দেরি হয়। ক্লাস হয় না সঠিকভাবে। প্রতিদিন একটির বেশি ক্লাস হয় না। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেশিরভাগ সময় মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ক্লাস করাতে এসে একবার পড়া দেখিয়ে দিয়ে তারপর মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন শিক্ষক শিক্ষিকারা বলে অভিযোগ। বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মান এতটাই তোলানিতে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে যে অভিভাবকরা এখন বিদ্যালয়টির উপর আর ভরসা করতে পারছে না। এলাকাবাসীদের আরো অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনরকম নজরদারি করছে না বলে বিদ্যালয়টির পঠন-পাঠনের মান দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। তাই ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।