স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুন : ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা সিপিআইএম এবং কংগ্রেস থেকে বিজেপি’তে যোগদান করেছিলেন তারা প্রতারিত এবং প্রবঞ্চিত হয়েছেন। এখন বিজেপি ক্ষমতায় এসে ৫২ মাস ধরে লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। রেগা, টুয়েপ এবং পূর্ত দপ্তর সহ কোন দপ্তরের কাজ নেই। শুধু মাত্র শ্রমিকদের টাকা লুট করছে মন্ডলের বাছাই করা নেতা। এগুলি বন্ধ না হলে মানুষ বাঁচবে না।
তাই লড়াই ছাড়া এই সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া যাবে না। বুধবার খোয়াই সি পি আই এম -এর আহ্বানে বারো দফা দাবিতে কবিগুরু পার্ক এলাকায় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের হাজার হাজার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে যারা বিজেপি সমর্থক তাদের নাম তালিকায় রেখে ঘর প্রদান করেছে। কিন্তু প্রথম কিস্তির টাকা সঠিকভাবে বেনিফিসিয়ারির টাকা পেয়ে গেলেও, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে গেলে ১৫-২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিচ্ছে মন্ডল নেতারা। কিন্তু যে টাকা তাদের দ্বিতীয় কিস্তি এবং তৃতীয় কিস্তির টাকা মিলছে তাকে করে ঘর নির্মাণ করা অসাধ্যকর হয়ে পড়ছে। কারণ দিনদিন মানুষ বিজেপি সরকারের আমলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। টাকার দাম কমছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তাই যে টাকা বেনেফিশিয়ারিদের মিলছে তা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি আরো বলেন আগামী দিন বড় সংগ্রাম অপেক্ষা করছে। যাতে আগামী ২০২৩ -এর নির্বাচনের আগে তারা মানুষের কাছে দাঁড়িয়ে ভোট চাইবার ক্ষমতা না পায়। এর জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে বলে জানান মানিক সরকার।
বর্তমানে রাজ্য জাতি জনজাতির মধ্যে ঐক্য ভাঙ্গার প্রচেষ্টা চলছে। যে ঐক্য ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিগত দিনে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এবং ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার শক্তি অর্জন করেছিল। সেই ঐক্য এখন ভাঙার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই মজুরির দাবি, কাজের দাবি সাথে এই শান্তি-সম্প্রীতি ঐক্যের দাবি সংযুক্ত করতে হবে। তাই বৃত্ত সম্প্রসারিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে স্থানে দিতে হবে বলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
এদিন সভার পর শহরে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা, জল সেচের ব্যবস্থা করা, কাজ খাদ্য এবং পানীয় জলের দাবি সহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা , সি পি আই এম জেলা সম্পাদক রঞ্জিত দেববর্মা, মহকুমা সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, রাজ্য কমিটির সদস্য বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।