স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৬ মে : ইদানিং দেখা যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংবিধান বাঁচাও কর্মসূচি করা হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস এত বছর রাজত্ব করার পরেও বিগত দিনে বাবার সাহেব আম্বেদকরকে তারা কখনো শ্রদ্ধা অর্পণ করেনি। বাবাসাহেব আম্বেদকর এর ছবি পর্যন্ত পার্লামেন্টে লাগায় নি। নির্বাচনে কৌশল করে বাবা সাহেব আম্বেদকরকে পরাজিত করতো কংগ্রেস। ভারতরত্ন পুরস্কার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ১৯৯০ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর উদ্যোগে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয় বাবাসাহেব আম্বেদকরকে। সুতরাং কংগ্রেস সংবিধানকে হত্যা করেছে।
এখন আবার তারা কেন সংবিধান বাঁচাও কর্মসূচি করছে? এটা জানতে চায় জনগণ। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন ১৯৯৩ সালে ত্রিপুরাতে নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কেন রাষ্ট্রপতি শাসন দিয়ে সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল? তখন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ছিল। কেন্দ্রেও কংগ্রেসের সরকার ছিল। তাই প্রশ্ন তাহলে কি ত্রিপুরাতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল? তিনি আরো বলেন ১৯৯৩ সালে তৎকালীন জোট সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাসা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক আইনজীবীকে।
১৯৯০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা হয়। গোহাটি হাইকোর্টে এই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা নিয়ে মামলা হয়। পরবর্তী সময় ১৯৯৬ সালে মহামান্য আদালত বলেছিল ভারতের সংবিধানের ৩১৬ এবং ৩১৯ নম্বর ধারা লংঘন করা হয়েছে। অপরদিকে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে চাকরি নিয়ে লাগাতার অভিযোগ তুলছে। কিন্তু তারা কি সাধু? সিপিআইএম যে পাপের বোঝা নিয়ে রেখেছে সেগুলি হাওড়া নদীতে ডুব দিল পাপ মোচন হবে না। গঙ্গায় গিয়ে ধূপতি লাগিয়ে আসতে হবে জিতেন বাবুদের। ১৯৯৩ সালে সিপিআইএম ক্ষমতায় এসেছিল। এই বছর এপ্রিল মাসে বৈরীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য সমস্ত শূন্যপদগুলি সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তী সময় জনগণের চাপে এই নির্দেশ প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল খবরের কাগজে। জিতেন বাবুর কি এই লজ্জাজনক ইতিহাস তুলে ধরবে না? এবং কংগ্রেস সরকারের সময় শিক্ষা দপ্তর থেকে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক পদে অফার ছাড়া হয়, আগরতলা পুর পরিষদে ৩৮৭ জন এবং জুট মিলে ৩০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন ছিল না বলে অভিযোগ তুলে বামফ্রন্ট সরকার চাকরি গুলি বাতিল করে দেয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখন জিতেন বাবুদের কাছে আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরের চাকরির ছাড়ার পর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টিং করে শিক্ষামন্ত্রীকে এলাকা ছাড়ার জন্য বলে বেকাররা। বিধায়কের বাড়িতেও বেকারা হানা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষিণ জেলায় ছুটে যেতে হয় দুই মন্ত্রীকে। উদয়পুরে ধুমধুমা সংঘর্ষ হয়। বিলোনিয়াতে সিপিআইএম নেতা আক্রান্ত হন। বেকার বঞ্চনার জন্য এমন বহু নিদর্শন রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। তিনি বলেন বামফ্রন্ট সরকারের স্বজন-পূষণ নীতি কেউ ভুলেনি বলে আক্রমণ করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এরছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।