স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ মে : এক হিটলারের শাসন মুছলেও, দ্বিতীয় হিটলারের জামানা শুরু। আর দ্বিতীয় হিটলারের জামানায় রক্ষা পাচ্ছেন না সাংবাদিকরা। এ জামানায়ো শুরুতেই পুলিশকে অপব্যবহার করে চিত্র সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে মারধর করল দালাল পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে আগরতলা রাধানগর স্থিত পেট্রোল পাম্প বাইকের জন্য তেল কিনতে যান নিতু দে নামে এক সাংবাদিক। সেখানে স্থানীয়দের সাথে নিতু দে’র বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে কলেজ টিলা আউটপোস্টের ওসি অরিন্দম রায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে চিত্র চিত্র সাংবাদিক নিতাইকে। বেধড়ক মারধর করে মুখে মদ ঢেলে দিয়ে আইজিএম হাসপাতালে মেডিকেল করাতে নেয়। পরবর্তী সময় সেখানেও নিতাইকে মারধর করে পুলিশ। তারপর থানায় এনে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ নিতাইয়ের পরিবার-পরিজনদের খবর পর্যন্ত না দিয়ে থানার লকআপে রাখে দেয়। রাতে খাবার পর্যন্ত দেয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সাথে জোট হন পূর্ব থানার ওসি রাজীব বাবু। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ছুটে আসে। তারপর পুলিশ কিছুটা নড়েচড়ে বসতে শুরু করে। বুধবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন সাংবাদিকরা পূর্ব থানা ঘেরাও করে। তবে বর্তমান সরকারের আমলে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা কোন নতুন বিষয় নয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জনসভা থেকে সাংবাদিকদের সরাসরি হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই সাংবাদিকদের উপর এ ধরনের আক্রমণ লাগাতার চলে আসছে। কখনো দলের কর্মীদের দিয়ে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ, আবার কখনো পুলিশকে অপব্যবহার করে সাংবাদিকের উপর চলছে দমন-পীড়ন নীতি।
অভিযোগ শুধু রাজ্যের সাংবাদিক মহলে সীমাবদ্ধ নয়। গোটা দেশের সাংবাদিকরা রাজ্যের এ ধরনের দমন-পীড়ন নীতি সম্পর্কে অবগত রয়েছে। জল বহুদূর গড়ালেও নিলজ্জ সরকার। বুধবার সকালে আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে, সম্পাদক সহ একটি প্রতিনিধি দল পূর্ব থানায় যান। সেখানে দীর্ঘক্ষন ওসি সাহেব এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর সাথে কথা বললে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। পরবর্তী সময় প্রতিনিধি দলটি এসে পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসেন। পরবর্তী সময় ধর্নাস্থলে এসে পুলিশ আধিকারিকরা জানান আজকের মধ্যেই ওসি অরিন্দম রায়কে সাসপেন্ড করা হবে। এবং ওসি অরিন্দম রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওসি অরিন্দম রায় থানার লকআপে সাংবাদিক নিতাই দে -কে মারধর করেছে এবং ক্যামেরা সহ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন।