স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল: কাশ্মীরের পেহেলগাঁও এলাকায় হাজার হাজার পর্যটক যায়। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। পেহেলগাঁও এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু ঘটনার দিন সেখানে একজনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। সেখানে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু সেখানে কোন ধরনের নিরাপত্তারক্ষী না থাকা সন্দেহজনক।
ঘটনার দিন সেখানে কেন কোন ধরনের নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না। পেহেলগাঁও-র ঘটনার দায় ভারত সরকারকে নিতে হবে। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন দেশে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। একদিকে পেহেলগাঁও ঘটনা, অপরদিকে দেশের সংবিধানের উপর আক্রমণ। কিছুদিন পূর্বে দেখা গেছে সুপ্রিমকোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কত গুলো নির্দেশিকা জারি করেছে। তামিলনাড়ু সরকার বিধানসভায় কিছু বিল পাস করিয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে কিছু বিল তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আটক করে রেখেছিলেন।
আবার কিছু বিল রাষ্ট্রপতি আটক করে রেখেছিলেন। সুপ্রিমকোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তামিলনাড়ুর বিধানসভায় পাস হওয়া বিল কোনোভাবেই রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি আটক করে রাখতে পারেন না। সুপ্রিমকোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দুই মাসের মধ্যে বিল গুলিকে স্বাক্ষর করে দিতে হবে। অন্যথায় বিল গুলি আপনা আপনি আইনে পরিণত হয়ে যাবে। দেশের উপরাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি হয়তো দেশের সংবিধানের কথা ভুলে গেছেন বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পীযুষ কান্তি বিশ্বাস।