স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মে : পূর্বে একটা আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেটা হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট। এটা ১৯৭২ সালে এডহক করা হয়। তারপর যেসব সংশোধনী হয়েছে তাতে কোন কিছু অবলম্বন করা হয় নি। ফলে বিগত দিনে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের কিছু সমস্যা হয়।
জনগণের বাড়িঘর এবং ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণে নিরাপত্তায় থাকার কথা তা অপর্যাপ্ত ও ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সেই সমস্যা নিরসন করার লক্ষ্যে পরবর্তী সময় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিল ত্রিপুরার রাজ্যপালের সম্মতিক্রমে নিয়ে দ্য ত্রিপুরা ফায়ার এন্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস অ্যাক্ট ২০২২ আনা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে অবগত করেন ত্রিপুরা আইন বিভাগের উপসচিব স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন অনলাইনের মাধ্যমে ফায়ার এন ও সি নেওয়া যাবে। এর জন্য কাউকে অফিসে যেতে হবে না। এবং সময়ের কাজ সময়ে হবে। কোন অফিসার চাইলেও সেই কাজ নিয়ে বিলম্ব করতে পারবে না বলে জানান তিনি। আরো বলেন বিল্ডিং রুলসের মাধ্যমে এ আইনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং জাতীয় কোডে বলা হয়েছে ১৫ ফুটের অধিক বাড়ির জন্য ফায়ার এন ও সি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২৮ দিনের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য ১ হাজার সিভিল ডিফেন্স সহ প্রথম সারির মানুষকে নিয়ে গ্রামাঞ্চলে এক বাহিনী গঠন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে বড়সড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পরিস্হিতি মোকাবেলা করা যায় বলে জানান তিনি।